ইবির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ

অধ্যাপক ড. এম এম নাসিমুজ্জামান
অধ্যাপক ড. এম এম নাসিমুজ্জামান  © সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে হত্যার হুমকি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। হুমকির অভিযোগে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতিও পেয়েছিলেন। কিন্তু এখনো থেমে থাকেননি তিনি। আবারো তার বিরুদ্ধে সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণের’ অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম এম নাসিমুজ্জামান।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুকাপ আন্ত:বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে-২০২০ এর স্থগিত খেলা গত ২০ ডিসেম্বর পুনরায় শুরু হয়। গত ২৮ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডে আইন বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই খেলায় ব্যবস্থাপনা বিভাগকে হারিয়ে আইন বিভাগ জয় লাভ করে। কিন্তু আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এ বিষয়ে আপিল কমিটির কাছে আপিল করে ওই বিভাগের জয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

আরও পড়ুন: লকডাউন হলে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পেছাবে 

অভিযোগ নিয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগে আপীল কমিটির আয়োজিত সভায় আইন বিভাগের দুই শিক্ষক অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম ও ড. আনিচুর রহমানের সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে জানা গেছে। গত রবিবার (২ জানুয়ারি) আইন বিভাগে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম বলেন, তিনি একজন শিক্ষক। আমরাও শিক্ষক। কিন্তু এ ধরনের আচরণ কিংবা খারাপ ব্যবহার তিনি করতে পারেন না। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন।

আরও পড়ুন: জয়ের পর ঘরে বসে অঝোরে কাঁদলেন শোয়েব 

এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. নাসিমুজ্জামান বলেন, সভায় আসলেই কিছুই ঘটেনি। তারা উল্টো আমাকে দুষছেন। আপিল কমিটির সদস্যরাই এ বিষয়ে ভালো জানেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখছি। উপাচার্য মহোদয় ক্যাম্পাসে আসলে তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিক্বহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষককে ‘মাথা ফাটিয়ে খুন’ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাকে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ