বিশ্ববিদ্যালয় খুলে সশরীরে পরীক্ষা চায় জাককানইবি ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয় খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ
বিশ্ববিদ্যালয় খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) শাখা ছাত্রলীগ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেয়া এক স্মারকলিপিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ারও দাবি জানানো হয়।

আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরারব এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। এসময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে ছাত্রলীগ বলেছে, দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ১ম ও ২য় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন এবং গুটিকয়েক শিক্ষার্থী ২য় ডোজ টিকা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছেন।

‘‘এমতাবস্থায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইন থেকে সশরীরে পরীক্ষা দেওয়ার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা নেই অনেক শিক্ষার্থীর। ডিভাইস এবং ইন্টারনেটজনিত সমস্যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অনলাইনে পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করছেন।’’

এতে বলা আরও হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ অতীতের ন্যায় শিক্ষার্থীদের প্রতিটি যৌক্তিক দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মযজ্ঞে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, আমরা সবসময় প্রশাসনকে বলেছি, আপনারা শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এ পর্যন্ত তাদের কাছে এমন কিছু পাইনি। এটা দুঃখজনক।

তিনি বলেন, এতোদিন যা হয়েছে, এখন আর শিক্ষার্থীদের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। অনেক দেখেছেন, দেখতে দেখতে আজ এ পর্যন্ত এসেছেন। এখন আর দেখার সুযোগ নাই। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে থেকে যদি পরীক্ষা শুরু না হয় তাহলে কোনো বিভাগীয় প্রধান বিভাগে প্রবেশ করতে পারবে না। আমি বেয়াদব স্যার, শিক্ষার্থীদের জন্যে বেয়াদব।


সর্বশেষ সংবাদ