আর্টিকেল কপি করায় গুগল স্কলারের লাল তালিকায় বেরোবি শিক্ষক

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রশিদুল ইসলাম
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রশিদুল ইসলাম  © সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষক অন্যের আর্টিকেল কপি করে নিজের নামে চালানোর অভিযোগে লাল তালিকায় (রেডলিস্ট) অন্তর্ভূক্ত করেছে গবেষণা সংশ্লিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক সাইট। ওই শিক্ষকের নাম রশিদুল ইসলাম। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট।

জানা যায়, গবেষকগণ গুগল স্কলারে নিজের নামে প্রোফাইল তৈরি করে নিজের আর্টিকেলসমূহ সেখানে যোগ করে থাকেন। ড. রশিদুল ইসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ই-মেইল আইডি দিয়ে তার নিজের নামে একটি প্রোফাইল তৈরি করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন দেশের গবেষকদের রচিত আর্টিকেলসমূহ নিজের প্রোফাইলে যুক্ত করেন। ফলে তার প্রোফাইলের সাইটেশন (তথ্য স্বীকৃতি) বহুগুণে বেড়ে যায়। অন্যের আর্টিকেল নিজ প্রোফাইলে যুক্ত করায় তার সাইটেশন সংখ্যা হয়েছিল ৫২৯৬।

একারণে তিনি এই সাইটেশনের ভিত্তিতে ‘ওয়ার্ল্ড সাইন্টিস্ট এন্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং -২০২১’ -এ বাংলাদেশের সেরা গবেষকদের একজন নির্বাচিত হন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ গবেষক নির্বাচিত হন।

পরে রশিদুল ইসলামের নামে অভিযোগ উঠলে এই তালিকা থেকে তাকে সরিয়ে দিয়ে রেডলিস্টভূক্ত করে আন্তর্জাতিক সাইটটি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে প্রথমে তিনি নিজের প্রোফাইল থেকে অন্যের লেখা আর্টিকেলগুলো সরিয়ে নেন। এর ফলে তখন তার প্রোফাইলে সাইটেশন সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩। পরে আবার চেক করে দেখা যায়, তিনি গুগল স্কলার থেকে তার প্রোফাইলটি ডিলিট করে দেন।

এ বিষয়ে ড. রশিদুল ইসলাম বলেন, গুগল সাইটে একাউন্ট খুলে ওইটাতে আমি আর ঢুকিনি। অটোমেটিক কিছু আর্টিকেল ওইটাতে এসেছিলো। ওখানে যেগুলো আমার সেগুলো সিলেক্ট করতে হয় আর বাকিগুলোকে রিমুভ করতে হয়। আমি সেটা করেছি। আর যেগুলো ছিল সেগুলো আমার ছিল না। একটা একাউন্ট খুললেই ওই রিলেটেড অনেক কিছু আসে। সেগুলো সিলেক্ট করতে হয়।

তাকে কেন রেডলিস্ট করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে পরে আমি আর দেখিও নি। আমি আমারগুলো সিলেক্ট করেছি। তারপরে কি হইছে আমি জানি না।


সর্বশেষ সংবাদ