কুষ্টিয়ায় আইসিইউ বেড স্থাপনের দাবি ইবি শিক্ষকদের
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ মে ২০২১, ০৪:৫১ PM , আপডেট: ০৮ মে ২০২১, ০৪:৫১ PM
কুষ্টিয়ায় আইসিইউ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। শুক্রবার (০৭ মে) রাতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ফয়সালের মাগফিরাত কামনা উপলক্ষে অনলাইন দোয়া অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
শিক্ষকরা বলেন, কুষ্টিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর। শহরের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও এখানে একটিও আইসিইউ বেড নেই; বিষয়টি হতাশাজনক। এসময় তারা কুষ্টিয়ায় আইসিইউ বেড স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দোয়া অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়া মরহুমের পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোলায়মান।
অনুষ্ঠানে মরহুম শিক্ষকের ছেলে কুষ্টিয়ায় আইসিইউ স্থাপনের দাবি করে বলেন, ‘কুষ্টিয়ার মত জেলা শহরে একটিও আইসিইউ বেড নেই। আমি একাই দৌঁড়াঝাপ করেছি। ডাক্তাররাও তেমন একটা এগিয়ে আসেনি। আমার বাবাকে হারিয়েছি; এ যন্ত্রণা আমি বুঝি। আর কারো বাবা যেন চিকিৎসার অবহেলায় মারা না যান।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন, ‘প্রফেসর ড. ফয়সাল একজন পরিশীলিত, নিবেদিত, আলোকিত শিক্ষক হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি উন্নত স্বভাব চরিত্রের অধিকারী ভালো মানুষ ছিলেন। উনি জান্নাতবাসী হোন, আমরা এই প্রার্থনা করি।’
পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইবি শিক্ষকের মৃত্যু
অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় সভাপতিরাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার (৪ মে) প্রফেসর ড. ফয়সালকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গত বুধবার (৫ মে) তার অক্সিজেন সেচুরেশন অনেকাংশে কমে আসে। ফলে আইসিইউতে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। এসময় অবস্থা গুরুতর হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ড. ফয়সালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।