নতুন ক্যাম্পাসের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের হাতাহাতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (১১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ফের কেউ ক্যাম্পাসে ঝামেলার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।

বিষয়টি জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন আসে পরিচিত হওয়ার জন্য। এসময় জুনিয়র কিছু কর্মী এসে টেন্ডার নিয়ে কথা বলতে থাকে। দুই পক্ষের বাকবিতন্ডায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আমি তাদের বের হয়ে যেতে বলি।

তিনি বলেন, এসময় তাদের দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে। তিনি আরও বলেন, এর আগে আশরাফুল, ইব্রাহিম ও শাকিল বেশ কয়েকবার এসেছিলো। টেন্ডার হলে সেখান থেকে কিছু পার্সেন্টিজ রাখতে বলে। আজকের ঘটনা ওই সূত্র ধরেই হতে পারে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমির বাউন্ডারি ওয়ালের ই-টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল আজ রোববার। এ টেন্ডারকে ঘিরে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি, সৈয়দ শাকিল কয়েকদিন আগে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে দেখা করেন।

এদিন দুপুরে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আল আমিন শেখ, যুগ্ম সাধারণ হোসনে মোবারক রিশাদ, নাজমুল ইসলাম সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, আকতার হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাহবাজ হোসেন বর্ষণ ও সহ সম্পাদক রিফাত সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরে আসেন।

এর কিছুক্ষণ পর সাবেক সহ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি ও সৈয়দ শাকিলের কর্মীরা প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে এসে হট্টগোল শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডা শুরু হলে প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাদ বলেন, করোনার জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সকালের দিকে আমরা কয়েকজন মিলে ক্যাম্পাসে যাই। বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের পরিচিতদের সাথে দেখা করি। বেলা ১২টার দিকে প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে ঢুকে কথা বলার সময় আশরাফুল, ইব্রাহিম ও শাকিলের গ্রুপের কর্মীরা হুট করে রুমে আসে। এসময় টেন্ডারের কথা বলে আমাদের সাথে হট্টগোল করে।

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিল বলেন, ক্যাম্পাসে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। তবে কেন হয়েছে আমার জানা নেই, আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। শুনেছি পদপ্রত্যাশীদের সাথে জুনিয়র কর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ প্রধান প্রকৌশলরী কক্ষে হট্টগোল লেগেছে জেনে আমরা দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। উভয় পক্ষকে বলেছি শান্ত থাকতে। এসব নিয়ে ক্যাম্পাসে কেউ ঝামেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ