বাংলা সাহিত্য পড়ানো শুরু করবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২০, ১০:৩৬ PM , আপডেট: ১৪ জুন ২০২০, ১১:১৩ PM
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ছয়টি কোর্স সংযোজিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিনেট-সিন্ডিকেট থেকে এটি পাস হয়েছে। বাংলাদেশের সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস পশ্চিমবঙ্গের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. নিখিলেশ রায় বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, হাসান আজিজুল হক ও আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও সেলিনা হোসেনের বিচ্ছিন্ন লেখা অন্তর্ভুক্ত। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পথিকৃতের কাজটি করলো। আশাকরি পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বাংলাদেশের সাহিত্য সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করবে।
তিনি বলেন, দুই বাংলার ‘বাংলা সাহিত্যের’ ইতিহাস প্রণেতারা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে তাদের ইতিহাস চর্চায়। কেউ বাংলা হিন্দু সাহিত্যের ইতিহাস, কেউ বাংলা মুসলিম সাহিত্যের ইতিহাস লিখেছেন। প্রকৃত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আজ অব্দি লেখা হয়নি। অ্যাকাডেমিয়ার এগিয়ে আসা উচিত। আমরা আশাবাদী প্রকৃত বাংলা সাহিত্য চর্চা হলে সেখানে ইতিহাস ঠিকমতো লেখা হবে।
বাংলাদেশের সাহিত্য বিষয়ক পাঠ্যক্রমউত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স চতুর্থ সেমিস্টারের স্পেশাল পেপার হিসেবে বাংলাদেশ সাহিত্য বিবেচিত হয়েছে।
এই পাঠ্যক্রমে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের পাশাপাশি স্মৃতিকথা, মুক্তিযুদ্ধ ও আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', জাহানারা ইমামের 'একাত্তরের দিনগুলি' ও মঈদুল হাসানের 'মূলধারা-৭১' যুক্ত করা হয়েছে।
কবিতা বিভাগে শামসুর রাহমানের 'বন্দী শিবির থেকে', নির্মলেন্দু গুণের হুলিয়া ও শামীম রেজার 'যখন রাত্রির নাইমা আসে সূবর্ণনগরে ' কাব্যগ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া উপন্যাসে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের 'চিলেকোঠার সেপাই', সেলিনা হোসেনের 'যুদ্ধ' ও শহীদুল জহিরের 'জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা' উপন্যাস যুক্ত হয়েছে।
নাটকে সৈয়দ শামসুল হকের নুরলদীনের সারাজীবন, সেলিম আল দীনের নিমজ্জন ও সাঈদ আহমেদের কালবেলা রয়েছে। এছাড়াও শওকত আলী, হাসান আজিজুল হক ও প্রশান্ত মৃধার গল্প রয়েছে এই পাঠ্যক্রমে।