ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাবকে নির্যাতনে নিডর্যাতন করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ  শুরু করে। তাদের দাবি এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ''আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই, শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, এক দফা এক দাবি  বহিষ্কার বহিষ্কার " ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে।

file (10)

ঘটনার শিকার সোহরাব মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এরা দুইজনেই জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।

file (11)

মারধরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে সোহরাবসহ ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে সোহরাবকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে তারা দুজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর শুরু করে। তারা সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠী জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। ডাক্তার জানিয়েছে মাথার তিন জায়গায় সেলাই দেয়া লাগতে পারে। তার মাথা থেকে প্রচন্ড পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। আপাতত এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাবের এক সহপাঠী জানান, গত কয়েকদিন থেকেই আসিক লাক সোহরাবকে নানানভাবে অত্যাচার করে আসছে। দুইদিন আগেও  আসিফ লাক সোহরাবকে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পর মেরেছিল।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ