বেরোবিতে ফের তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে কর্মচারীরা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী বান্ধব পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং ১০ম গ্রেড প্রাপ্ত ২৫ জনকে কর্মকর্তা পদমর্যদা প্রদান ও মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণের দাবিতে রবিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পযর্ন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের একটি সংগঠন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের আড়াই মাসের মাথায় ফের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে কর্মচারীরা। সোমবার থেকে দিনব্যাপী কর্মবিরতির ঘোষণা দেন কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে রেজিস্ট্রারের রুমের সামনে সববেত হয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে। এছাড়া, ‘বারবার কেন আন্দোলন, শিরোনামে উপাচার্য বরাবর কর্মচারীরা একটি খোলা চিঠি দেন। চিঠিতে তারা তাদের অভিযোগগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘আমারা বিগত দিনে ৪৪ মাস যাবৎ অতি কষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি করে আসছি। সেসময়ে রহস্যজনক কারণে ৪৪ মাস যাবৎ বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি যা আজও বকেয়া রয়েছে। তবে ২৮৮ জনকে বকেয়া পরিশোধ করলেও ৫৮ জন কর্মচারীকে ওই বকেয়া দেয়া হয়নি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে বক্তব্য প্রদান করেন তা গ্রহনযোগ্য নয় মাননীয় উপাচার্য। কারণ ২৮৮ জনের বকেয়া দেয়ার ক্ষেত্রে মামলার কোন প্রশ্ন উঠলো না। ৫৮ জনের ক্ষেত্রে কেন মামলার প্রশ্ন তোলা হল? তাছাড়া, ৫৮ জনের নামে কোন মামলা নেই মর্মে পূর্বেও রেজিস্ট্রার পত্র মারফত ইউজিসিকে অবহিত করেছেন। তাই আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫৮ জনের বকেয়া আটকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরীর অপচেষ্টা করছেন।

এ ব্যাপারে কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান বলেন, আজ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করলেও আগামীকাল আমরা সারাদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি। আগামীকালের মধ্যে যদি কোন সমাধান করতে উপাচার্য মহাদয় আমাদের সাথে সাক্ষাত না করেন তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ‘কর্মচারীরা যে আন্দোলন করছে তা অযৌক্তিক। কারণ, তাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।’


সর্বশেষ সংবাদ