সেই কুবি কর্মকর্তা জাকিরের বহিষ্কারাদেশ বহাল
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৯ PM , আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ PM
শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং বিনানুমতিতে কর্মস্থলে ৬০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উপাচার্যের অফিস কক্ষে শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ এবং চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বিনানুমতিতে কর্মস্থলে ৬০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুইটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি অভিযোগগুলোর সত্যতা পেয়েছে।
এতে বলা হয়, এর আগেও ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন প্রভাষক মো. আবদুর রহমানের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই বছরের ৬ মে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে সতর্ক করা হয়েছিল। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তাকে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় সিন্ডিকেটের ১০৮তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রাখা হয়। একই সঙ্গে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, এছাড়া সিন্ডিকেট সভার পরবর্তী দিন অর্থাৎ চলতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর দাখিল করা তার যোগদানপত্র গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া হামলার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন তিনি। গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে ২০ মার্চ সরকারি কর্মকর্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ৩৯ (০২) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ১২ (১) নম্বর বিধি মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।