নজরুল কলেজে নলকূপ স্থাপনে গাফিলতির অভিযোগের পর দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
- কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৮ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৭ PM
রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে ভোগার পর গভীর নলকূপ স্থাপন করলেও সেই কাজের গাফিলতি ও ত্রুটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করা হবে এবং নলকূপের পানি সরবরাহ কার্যক্রম বৃহৎ পরিসরে শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
‘নজরুল কলেজে নলকূপ স্থাপনে গাফিলতি, অভিযোগকারীদের ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি অধ্যক্ষের’ শিরোনামে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কলেজ প্রশাসন আশ্বস্ত করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলেজে স্থাপিত গভীর নলকূপটির বাজেট ছিল সাত লাখ টাকা। নলকূপ স্থাপনের কাজে মিটার, সরকারি ফি ও অন্যান্য খরচসহ মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা সরকারিভাবেই কলেজ প্রশাসনকে জমা দিতে হয়েছে।
নলকূপ স্থাপনের ঠিকাদারি দায়িত্বে ছিল বাইরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান। পুরো কাজের তদারকির জন্য কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধানসহ ৪ থেকে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির তত্ত্বাবধানে নলকূপ স্থাপনে ব্যবহৃত সাড়ে ৭০০ ফিট পাইপ ক্রয় করা হয়। এ ছাড়া নলকূপের মিটারের দাম ১৯ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে কলেজ প্রশাসন।
কলেজে স্থাপিত নলকূপের কাজ এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। নলকূপ থেকে প্রতিদিন ২ হাজার গ্যালন পানি উত্তোলনের কথা থাকলেও বর্তমানে উঠছে মাত্র ৫০০ গ্যালন। এর মধ্যে প্রতিদিন ব্যবহৃত হয় প্রায় ২০০ গ্যালন পানি, আর অবশিষ্ট ৩০০ গ্যালন অব্যবহৃত থেকে যায়। কলেজ প্রশাসনের দাবি, এই অব্যবহৃত পানিতেই আয়রন জমে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
নলকূপটি বৃহৎ আকারে স্থাপন করা হয়েছে। কলেজের সব ভবনে যখন এই নলকূপের পানি সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হবে এবং বৃহৎ পরিসরে পানি উত্তোলন হবে, তখন এই সমস্যাটি আর থাকবে না বলে জানিয়েছে কলেজ প্রশাসন।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নলকূপে এত সমস্যা আছে এটা আগে আমাদের জানা ছিল না। আমরা ইতোমধ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যদি বৃহৎ পরিসরে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে এ সমস্যা আর থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কলেজের চারটি ভবনে পানির লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। বৃহৎ আকারে পানি উত্তোলন করা হলে, পানি ব্যবহারের পরিমাণও বাড়বে। এর জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন, এজন্য আমরা সরকারের কাছে পুনরায় বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই চারটি ভবনে পানির লাইন স্থাপন করা হবে।’