হিট প্রকল্পে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পেল ২৬ কোটি টাকার গবেষণা বরাদ্দ
- খুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ PM
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘হায়ার এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছয়টি গবেষণা প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে মোট ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজ, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের নানা সমস্যার টেকসই সমাধান খোঁজার পাশাপাশি তরুণ গবেষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে উঠবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রাকিব্বু, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার কর্মকার ও ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এ.আর.এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. অলোকেশ কুমার ঘোষ।
অধ্যাপক ড. এ.আর.এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক ল্যাব স্থাপন এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে রিসার্চ ক্লাস্টার গড়ে তোলা। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাদ্রী ও ক্রুক ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগও তার গবেষণার অংশ। এছাড়া নবীন গবেষকদের জন্য কর্মশালা আয়োজন করা হবে, যেখানে গবেষণার অ্যাপ্রোচ, মেথড ও টেকনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পগুলো ২০২৮ সালের ৩০ জুন শেষ হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বৃহৎ পরিসরে গবেষণা অপরিহার্য। হিট প্রকল্প সেই সুযোগ তৈরি করেছে। তবে তিনি গবেষণার অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ অর্থ বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে এসেছে, যা দেশের সাধারণ মানুষের ভ্যাট-ট্যাক্সের অর্থ দিয়ে পরিশোধ করতে হবে। তাই বরাদ্দ যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয় এবং মানুষের উপকারে আসে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইউজিসি বাস্তবায়িত এ প্রকল্পে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ১ হাজার ৪৮১টি গবেষণা প্রস্তাব জমা পড়ে। যাচাই–বাছাই শেষে ১৫১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পাঁচ বছর মেয়াদি (২০২৩-২০২৮) এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।