চবি, রাবি ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের উদ্বেগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৫ PM , আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ PM
একই দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় ও বহিরাগতদের হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে কমিশনারের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরাম (ইউটিএফ)। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ইউটিএফের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হন। বর্তমানে আহতরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। যাদের অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন’ জানা যাচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে দূরত্ব,ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের রাকসু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজে বাঁধাদান, চেয়ার টেবিল ফেলেদেয়া অনাকাঙ্ক্ষিত।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা আক্রমণ করে এমনকি তারা লাইব্রেরিতেও ভাঙচুর চালায়। প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করে যা খুবই দুঃখজনক। শিক্ষার পরিবেশের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। এই ঘটনায় ক্লাস পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
হামলাসমূহের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য হুমকি। আমরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হামলার ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে এ হামলার ঘটনায় বহিরাগত স্থানীয়দের পাশাপাশি অন্য কোনো সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এছাড়া, বিবৃতিতে ইউটিএফ সরকারের কাছে হামলায় আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানায়। একইসাথে চট্টগ্রাম রাজশাহী ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল ক্যাম্পাস এলাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আগাম স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতি জোর দাবি জানায়।