একাত্তর-চব্বিশ নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৬:১৭ PM , আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৫, ০১:৫১ PM
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, একাত্তর আমাদের গৌরবের জায়গা, এটাকে ঠিক রেখেই সবকিছু সংস্কার করতে হবে। একাত্তরকে বাইপাস করে যদি সংস্কারের নামে পরিবর্তন করতে যাই, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা সফল হতে পারবো না। জুলাই আমাদেরকে একটা সুযোগ দিয়েছে জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য। একাত্তর-জুলাই’২৪ কে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে একাডেমিক কমিটি (আর্টস) আয়োজিত “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সংবিধান সংস্কার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের উপযোগী হয়ে উঠতে হবে। তা না হলে ভালো কিছু অর্জন করতে পারব না।
তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এক্ষেত্রে পাইওনিয়ারের ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেয়া সংস্কার কাজগুলি ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।
একাডেমিক কমিটি (আর্টস)-এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ হাদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. একরামুল হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মুখ্য আলোচক ড. একরামুল হক বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে সুযোগ এসেছে সংবিধানকে গণমুখী ও যুগোপযোগী করার। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের জন্য এই সুযোগ এনে দিয়েছে, যে সুযোগটা আমাদেরকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।