ফলাফলে অসন্তুষ্ট, পুনঃনিরীক্ষণ ফি কমানোর আবেদন ইআবি শিক্ষার্থীদের
- ইআবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৪:১৮ PM , আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ০৭:২৫ PM
ফাজিল ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের ফলাফল নিরপেক্ষ দায়িত্বশীলদের দ্বারা নিরীক্ষা ও পুনঃনিরীক্ষণের ধার্যকৃত ফি ৮০০ টাকা কমানোর আবেদন জানিয়েছেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার (২৬ মে) ও ২০ মে দুইবার আবেদন করেছেন ভালো পরীক্ষা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা।
আবেদনপত্রে তারা বলেছেন, আমরা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল (পাস) কোর্সের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ হতে ১৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফাজিল (পাস) পরীক্ষা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
তারা বলেন, উক্ত পরীক্ষার ফলাফল গত ১৩ মে প্রকাশ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের পরপরই আমরা অপ্রত্যাশিতভাবে থমকে যাই, আমরা পরিপূর্ণ আশঙ্কা করছি আমাদের পরীক্ষার খাতাগুলো যথাযথভাবে দেখা হয়নি এবং উপযুক্ত মান প্রদান করা হয়নি। যার ফলে আমরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। যা আমাদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করার জন্য দায়ী। এমতাবস্থায় পুনঃনিরীক্ষণের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, যা দেখার পর আমরা আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ি। কারণ বিগত বছরেও প্রতি বিষয় কোড ৫০০ টাকা ছিল। এ বছর তা ৮০০ টাকা করা হয়েছে। উক্ত ফি আমাদের সাধ্যের মধ্যে ৩০০ করা হলে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের দ্বারা ভুক্তভোগী সকল শিক্ষার্থীগণ পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করার সুযোগ পাবে। অন্যথায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে এটি অসম্ভব এবং ব্যয়বহুল।
আবেদনকারী ফাজিল ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাকিম আক্ষেপ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এমনকি আমাদের সাথে যোগাযোগও করা হয়নি। এটি তাদের দায়িত্বশীলতার অভাব। বিষয়টি তারা আমলে নিলে আমরা অতিদ্রুততার সাথেই এ সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারতাম।
তিনি আরও বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের সমস্যা বিগত বছরগুলোতেও কমবেশি ছিল, কিন্তু এ বছরই তুলনামূলক চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আনুমানিক ৭০% শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী। কিন্তু আমাদের যেহেতু নির্দিষ্ট ক্যাম্পাস নেই কিংবা আমরা বিচ্ছিন্নভাবে থাকার ফলে সংগঠিত হতে সময় লাগছে; তবুও আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের অবস্থান তাদের নিকট স্পষ্ট করতে। যে ক্ষেত্রগুলি ত্রুটিপূর্ণ ছিল সেটি উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে লিখিত আবেদনে। তদ্রূপ তাদের নীরব ভূমিকায় আমরা চরম হতাশাগ্রস্ত।
সহকারী রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের সচিব জনাব আরিফুল ইসলাম বলেন, এরকম কোনো আবেদন এসেছে বলে আমার জানা নেই। এসব বিষয় জানতে উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।