র্যাগিংয়ের দায়ে ইবির ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৭ AM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯, ১০:২৩ AM
র্যাগিংয়ের দায়ে এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফ নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতদের সবাই ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বহিষ্কৃতরা হলেন- আদর বিশ্বাস, মাহফুজ আহমেদ নাবিল, মৃদুল পাল লিটন, তানজিলা পারভীন মীম ও এস এম আবুল বাশার।
এদিকে র্যাগিংয়ের এই ঘটনা অধিক তদন্তের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান।
কমিটির সদস্যদের আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ১৩ মার্চ (বুধবার) ফলিত খাদ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষ করে শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করছিলেন। এসময় অভিযুক্ত আদর বিশ্বাস, মাহফুজ আহমেদ নাবিল, মৃদুল পাল লিটন, তানজিলা পারভীন মীম, আবুল বাশার শ্রেণিকক্ষে ঢুকে নবীন শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন করে।
পরে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে এক শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে বিষয়টি জানান। পরে আজ দুপুরে ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে নিয়ে বিভাগে উপস্থিত হয়ে সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগের শিক্ষকরা র্যাগিং এর সত্যতা পায়। পরে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসন ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
এর আগে, র্যাগিংয়ের দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। তারও আগে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন র্যাগিংয়ের দায়ে তাদের ৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে।