জবি শিক্ষার্থীদের রাতভর সড়কে অবস্থান, সকালেও চলছে আন্দোলন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১১:০৯ AM , আপডেট: ১৫ মে ২০২৫, ০২:১৬ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩ দফা ও পুলিশের হামলার বিচারের দাবিতে রাতভর রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করেছেন। আবাসন, বৃত্তি, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে বাসে করে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদির বলেন, কাকরাইল মোড়ে অন্তত অর্ধশত আন্দোলনকারী আছেন। তারা রাতভর এখানে অবস্থান করেছেন। কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এখানকার সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখানে তৈরি হয়েছে যানজট। দাবি পূরণ না হাওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব হাসান বলেন, সকাল তিনটি বাসে করে শিক্ষার্থীরা আমাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য রওনা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার অন্যান্য স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন।
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কাজের অভিযোগে শিক্ষক আটক
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের সামনের অবস্থান ননে। দুপুর আড়াইটার পর বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টিতে ভিজেই তারা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ৩ দফাগুলো হল— আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।