বর্ণিল আয়োজনে ইবিতে লোক প্রশাসন দিবস উদযাপন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০১৯, ০৭:১১ PM , আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯, ০৭:১১ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেছেন, একুশ শতকের পৃথিবী বিনির্মাণে সুশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। আর এর জন্য লোক প্রশাসন বিভাগকে কোয়ালিটি এস্যুরেন্স ম্যাকানিজম পুরোপরি রপ্ত করতে হবে। তাহলেই এর মাধ্যমে আমাদের সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। লোক প্রশাসন দিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় এমনকি বৈশ্বিক জীবন মান উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্বটি বেশি বর্তায় লোক প্রশাসনের বিভাগের উপর।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের তিনটি জিনিস রপ্ত করতে হবে। এক হলো, যে বিষয়ে পড়াশোনা করছো তার লেটেস্ট ট্রেন্ড জানতে হবে। দুই, চারপাশ সম্পর্কে, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বে কী ঘটছে সে সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান রাখতে হবে। আর তিন ইংরেজিতে উপস্থাপনা শৈলীতে দক্ষ হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জুলফিকার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অদ্যাপক ড. ড. নাসিম বানু প্রমুখ।
আলোচনা সভার এক পর্যায়ে লোক প্রশাসন বিভাগের কর্মকান্ডের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থীদের চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড, লীডারশীপ অ্যাওয়ার্ডসহ বিভাগীয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরা শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ শেষে বিভিাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান ও শাম্মী আক্তারের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
এদিকে লোক প্রশাসন দিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে বিভাগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১১টায় মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।