পাবিপ্রবির ২ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১১:১৮ AM
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রোববার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বিকর্ণ দাশ দিব্য ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রণয় কুন্ডু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান জানান, গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে এই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বিভাগ থেকে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। তারা জবাব দিলেও সেটি সন্তোষজনক না হওয়ায় রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের জরুরি সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরআগে শুক্রবার রাতে বিকর্ণ দাশ দিব্য ও প্রণয় কুন্ডুর ফেসবুক পোস্ট এবং কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন এবং বহিষ্কারের দাবি জানান।
এদিকে, শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ফার্মেসি বিভাগের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়, যেখানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তারা হলেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বিদ্যুৎ সরকার, সুবর্ণা সরকার, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দিপু বিশ্বাস, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তনয় সরকার এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অংকন ঘোষ।
নতুন করে এই পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবিতে রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন এবং সেখানেই অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে অভিযুক্ত সাত শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থান ত্যাগ করবেন না বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন এবং ফার্মেসি বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান। এরপর শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দিয়ে বিক্ষোভ স্থগিত করেন।