বেরোবির মসজিদ নির্মাণে পাথরের বদলে খোয়া দেওয়ার অভিযোগ

বেরোবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
বেরোবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ  © টিডিসি ফটো

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণে পাথর দিয়ে ঢালাইয়ের কথা থাকলেও তার বদলে ইটের খোয়ার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থাপনার বিভিন্ন অংশে পানি পড়তে দেখা যায়। অবশ্য ঠিকাদার বলছেন, তারা সমাধান করে দেবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণে পাথরের ব্যবহার করার কথা থাকলেও ইটের খোয়া দিয়ে ঢালাই করা হয় এবং স্থাপনার বিভিন্ন অংশে পানি পড়তে দেখা যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশল মো. শাহরিয়ার আকিফ বলেন, ‘পাথরের পরিবর্তে খোয়ার ঢালাইয়ের অভিযোগ আমরা শুনেছি। কিন্তু ওই কাজের বিল এখনো দেওয়া হয়নি। বিল তো আমরা পাথরের দেব না, বিল তো আমরা খোয়ার দেব। তা ছাড়া ভবনটি নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটা খোয়া দিয়ে করা। খোয়া দিয়ে উঠে আসা ভবনের ওপর পাথরের লোড চাপানোর কোনো মানে হয় না। যা আছে সেটা ম্যানেজ করে আমরা তখন খোয়া দিয়ে কাজ করি।’

আরও পড়ুন: মদ খেয়ে ইভটিজিং, বেরোবি থেকে ২ বহিরাগত আটক

তিনি আরও বলেন, ‘এই মসজিদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল ২০১০ বা ২০১২ সালের দিকে। ওই সময় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের যারা আছেন, ওনারা এটার কাজ করেন তাদের ও তো ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তারা নিশ্চয়ই লোড অ্যানালাইসিস না করে তো নিশ্চয়ই ভবনটা করেনি। এই ব্যাখ্যা তারা বলতে পারবেন। দু-একটা সমস্যা আমরা শুনছি। আমরা যাবম দেখব এবং সমাধান করার চেষ্টা করব।’ 

মসজিদের কাজের বিষয়ে মসজিদের ঠিকাদার রানা বলেন, ‘মসজিদ ভবনে খোয়া দেওয়া ছিল, তাই পাথর দিয়ে ঢালাইয়ের কথা থাকলেও আমরা খোয়া দিয়ে ঢালাই করি।  আমরা ভালো মানের খোয়া ব্যবহার করেছি।’

আরও পড়ুন: যে কারণে চাকরি হারানোর পাশাপাশি বেতনও ফেরত দিতে হবে বেরোবি শিক্ষকের

ভবন নির্মাণের সময়সীমার কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘আমার সঠিক তারিখ মনে নেই। কাজের বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে ঠিকাদার বলেন আমাকে ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বাকি টাকা এখনো দেওয়া হয়নি।’

তিনি ভবনের নির্মাণের কাজের ত্রুটির বিষয়ে বলেন, ‘আমার জায়গা থেকে আমি চেষ্টা করছি ভালো করে করার। মিস্ত্রির অসচেতনতার কারণে ভবনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা আমরা সমাধান করে দেব এবং একটা ভিমে সঠিকভাবে ব্রাইবেটর করা হয়নি, ফলে ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

মসজিদ কমিটির নতুন সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। বাকিটা সরেজমিন দেখব এবং ইন্জিনিয়ার দ্বারা আরও পরীক্ষা করব। কারণ মসজিদ বিষয়ে দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় হবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ