যে কারণে চাকরি হারানোর পাশাপাশি বেতনও ফেরত দিতে হবে বেরোবি শিক্ষকের
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ AM , আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ AM
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে অতিরিক্ত ৬২ হাজার ৩৭৭ টাকা গ্রহণ করায় তাও ফেরত দিতে হবে তাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষকতা বাতিলসহ অতিরিক্ত গ্রহণকৃত টাকা অতি দ্রুত ফেরত দিতে বলেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ এর স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নিয়োগ বাতিল করা হয়।
গত বছর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক হিসেবে একটি স্থায়ী পদ ও একটি অস্থায়ী পদের বিপরীতে সীমা আক্তার ও মনিরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগের সময় যোগ্যপ্রার্থীকে না ডাকা, রাজনৈতিক উচ্চ মহলের সুপারিশে নিয়োগসহ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি এ নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরো পড়ুন: বেরোবি শিক্ষক ও ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা মনিরুলের নিয়োগ বাতিল
নিয়োগ বাতিল করে অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে প্রভাষক (অস্থায়ী) পদে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলির ১ নম্বর শর্ত অনুযায়ী যে শিক্ষকের শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল। তবে ওই শিক্ষক শিক্ষা ছুটি শেষে গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিভাগে যোগদান করেছেন।
বর্তমানে উক্ত বিভাগে কোনো শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে না থাকায় তার শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে প্রভাষক পদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ আদেশ ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বেতন ও ভাতা বাবদ ৬২ হাজার ৩৭৭ টাকা অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।