আল্টিমেটামের মধ্যেই হল ছেড়েছেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবি
শাবিপ্রবি  © টিডিসি ফটো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের দোসর রয়েছে এমন অভিযোগ এনে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন স্থানীয় জনগণ। এরইমধ্যে আবাসিক হল গুলো ছেড়ে চলে গেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৬ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয়  লোকজন মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের সামনে অবস্থান করে ছাত্রলীগ বিরোধী মিছিল দিতে থাকেন এবং সবাইকে হল ছাড়তে বলেন। স্থানীয় লোকজনের দাবি, দীর্ঘ ১৫ বছর শেখ হাসিনার আমলে ছাত্রলীগের ধূসরেরা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অপরাজনীতির চেষ্টা চালিয়ে  মানুষকে খুন, গুম হত্যার সাথে লিপ্ত ছিল।

স্থানীয় লোকজন আরও দাবী করেন, ছাত্রলীগের একটা চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। হল খালি হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসলে নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসন যাদেরকে হলে রাখবে তারাই শুধু হলে অবস্থান করবে। কিন্তু এখন আমরা ছাত্রলীগের কোনো এজেন্টকে হলে দেখতে চাইনা।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অবাঞ্চিত ঘোষনা করে বিবৃতি দিতে দেখা যায়। এ সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসী মনে করেন যারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন আজ তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতেছে কিছু দুষ্কৃতকারী। 

এসব কাজ হলের ছাত্রলীগের মাধ্যমে হচ্ছে বলেও তারা দাবি করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমন্বয়করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানালে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজ ক্যাম্পাসে জনতার সাথে কথা বলে ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে ছাত্রদের হল ছেড়ে যাবার অনুরোধ করলে ছাত্ররা হল ছেড়ে যায়। 

তবে ছাত্ররা দাবী করেন, তাদের রুমে রক্ষিত মালামাল যেন অক্ষত থাকে। শিক্ষকবৃন্দ এবং এলাকাবাসীরা জানান, হল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন আসলে মেধা ও দরিদ্রতা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই আলোকে হলে ছাত্র উঠবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে জনতা আবার মাঠে নামবে। সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত মেনে চলে ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, আমরা হলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে এখানে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলি। শিক্ষার্থীরা আমাকে জানান যেহেতু পরিস্থিতি এখন ভালো না তাই আমরা পিসফুলি এক্সিট করতে চাই। আমি সমন্বয়দের সাথেও কথা বলেছি। সবদিক বিবেচনা করে এখন হল ত্যাগ করাই শ্রেয় বলে মনে করছি। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন আসলে যেভাবে ভালো হয় সেভাবেই শিক্ষার্থীদেরকে হলে উঠানো হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence