অধ্যক্ষের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক ফি ৫০০ টাকা!

ভাইরাল অধ্যক্ষের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানের নোটিশ
ভাইরাল অধ্যক্ষের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানের নোটিশ  © সংগৃহীত

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোহসীন কবীরের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর বেইলী রোডস্থ অফিসার্স ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলেজটির কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কলেজ সংশ্লিষ্ট পেজ ও গ্রুপগুলোতে এ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা।

গত ২৪ জুনের ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘আগামী ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বেইলী রোডস্থ অফিসার্স ক্লাবে মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়ের পুত্রের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আয়োজনে আপনি নিমন্ত্রিত। এ উপলক্ষ্যে সকল কর্মচারীকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ৫০০ টাকা কলেজের ক্যাশ সরকার মো. আবুল হোসেনের নিকট আগামী ০৫ জুলাইয়ের মধ্যে জমাদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।’’

নোটিশটি নজরে আসলে এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোহসীন কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। তিনি জানান, তার ছেলে বিয়ের অনুষ্ঠানের তথ্যটি ঠিক আছে। তবে কর্মচারীদের ফি সংক্রান্ত কোনো তথ্যের বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি। যে বা যারা এ ধরনের নোটিশ দিয়েছে, তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

অধ্যাপক মোহসীন কবীর বলেন, আমার ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি কলেজ সংশ্লিষ্ট অনেক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিশেষ করে আমার কর্মচারীদের আমি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছি। তারা আমার ছেলের অনুষ্ঠানে এসে আনন্দ-উল্লাস করবেন। আমন্ত্রিত সবাইকে খালি হাতে আসতে অনুরোধ করেছি।

ভাইরাল নোটিশে কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক ৫০০ টাকা ফির বিষয়টি অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এমন নোটিশের বিষয়ে আমাকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। আমি যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তাদেরকে কার্ড ও মুখে দাওয়াত করেছি। যে বা যারা এ ধরনের নোটিশ দিয়েছে, তাদেরকে আমি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব।

অধ্যক্ষের বিয়ের দাওয়াতের ওই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান সহকারী মামুন। তার কাছে নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি সামাজিক প্রথা। তাই আমরা এ টাকা নিচ্ছি। কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক টাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন তিনি অফিসে এসে সরাসরি সাক্ষাৎ করবার কথা বলে ফোন কেটে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence