প্রথমবারের মতো টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৪:৫৯ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০৫:০২ PM
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’র (টিএইচই) ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং-২০২৪–এ প্রথমবারের মতো স্থান লাভ করেছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। এ তালিকায় বিশ্বব্যাপী ১৫০০-এর মধ্যে অবস্থান করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় র্যাংকিং প্রকাশকারী এ সংস্থাটি ফলাফল প্রকাশ করে।
বিশ্বের ১২৫টি দেশের ২১৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে এবারের ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৯ম অবস্থানে রয়েছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
এই র্যাঙ্কিংয়ে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) পূরণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদান মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। জাতিসংঘের মোট ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের মধ্যে ১৭ নং (লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব) এসডিজিসহ মিনিমাম ৩টিতে তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হয়েছিল। এর মধ্যে এসডিজি–৩: সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, এসজিডি-৫: জেন্ডার সমতা, এসডিজি ৮: শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্যাটাগরিতে আবেদন করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ ক্যাটেগরিতে ০.৮-৪২, জেন্ডার সমতা ক্যাটেগরিতে ২.২-৩৫.২, শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্যাটেগরিতে ৩০.৭-৪৩ এবং লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব ক্যাটেগরিতে ১.৭-৩৬.৮ নম্বর পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, 'বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অর্জনে আমরা আনন্দিত। পূর্বেও আমরা টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় জায়গা অর্জন করেছি। ঢাকার বাহিরে অবস্থান করেও একটি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে স্থান করতে পারে এটি তার প্রমাণ।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চের ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. এ.এইচ.এম. রহমতুল্লাহ ইমন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে আরো উপরে স্থান পাবে। আগামীতে আরো উন্নতি করতে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করব আমরা।’