সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণ-ইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৭

ফেনী সরকারি কলেজ

হামলার ঘটনা
হামলার ঘটনা  © সংগৃহীত

ফেনী সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গণ-ইফতার কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে অন্তত সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন-কলেজের বিবিএ শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান, বিএসসির সাইফুল ইসলাম, এমরান হোসেন, গণিত বিভাগের আবদুল মোহাইমিন আজিম প্রমুখ।

তবে ছাত্রলীগের দাবি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করে ছাত্রশিবির। এজন্য তাদের কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির ওপর ‘বিধিনিষেধ’ আরোপের প্রতিবাদে সোমবার ফেনী কলেজ আঙিনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী তৎসংলগ্ন ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদে আসর নামাজ শেষে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান হাবিবের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চান।

এর কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও কলেজছাত্র সংসদের ভিপি তোফায়েল আহমেদ তপু। তখন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে আজিমকে কলেজের একটি কক্ষে আটকে রেখে অন্যদের বের করে দেওয়া হয়। ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজ গেটে এলে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের বাধায় ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। তাদের হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

মারধরের শিকার আবদুল মোহাইমিন আজিম জানান, ইফতারে অংশ নিতে এলে তাদের ব্যাট-স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে তাকে আটকে রাখার আধা ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান হাবিব বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজে ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে ছাত্রশিবির। ফেসবুকে গণ-ইফতার নামে একটি আয়োজন দেখতে পাই। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তারা জড়ো হচ্ছেন। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তাদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে অরাজকতা করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণ-ইফতারের আয়োজন করে। বিষয়টি কলেজ প্রশাসন ও ছাত্র সংসদের কেউ জানতো না। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কলেজে গিয়ে তাদের সরিয়ে দিই। তবে সেখানে কাউকে পেটানো হয়নি বলে তার দাবি।

ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন বলে জেনেছি। ঝামেলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ