নিয়োগ বোর্ডে অশোভন আচরণ, ইবির সহযোগী অধ্যাপককে প্রভাষকে পদাবনতি
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৯ PM , আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:০২ AM
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ডে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক ড. বখতিয়ার হাসানকে পদাবনতি করা হয়েছে। সহযোগী অধ্যাপক থেকে অবনমন করে তাকে প্রভাষক পদ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬২তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের গত ২০২২ সলের ২৫ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রভাষক পদে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা চলাকালে বিশেষজ্ঞ সদস্যসহ নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান অশোভন আচরণ (Misconduct) করেন। এ বিষয়ে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের একজন বিশেষজ্ঞ সদস্যের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত তদন্ত কমিটি অভিযোগের (Misconduct) সত্যতা পায় এবং সে মর্মে রিপোর্ট প্রদান করেন।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টটি চলতি মাসের ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত ২৬২তম সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হয়। সিন্ডিকেট সভা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী সিন্ডিকেটে তাঁর বর্তমান পদ (সহযোগী অধ্যাপক) অবনমন করে প্রভাষক পদে প্রারম্ভিক বেতন স্কেল ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে (সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত সংযুক্ত)।
এই বিষয়ে ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডে আমার কোনো মতামত না নিয়ে নিজেদের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। তাই আমি বোর্ড থেকে বের হয়ে আসি। এরপর আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আমার করা রিটটি বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নানা দুর্নীতি তদন্তাধীন রয়েছে। কিন্তু অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট। রোববার বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থী নির্বাচনে চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই বেরিয়ে যান ফিন্যান্স বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান। এ ঘটনায় বোর্ডে থাকা এক বিশেষজ্ঞ সদস্য লিখিত আবেদন করেন।