নিরাপত্তা চাইলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ সাংবাদিক
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০ AM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৭ AM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ২৭ জন সাংবাদিক তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ ডায়েরি করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সব সাংবাদিকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আহত সাংবাদিক মো. ফাহাদ বিন সাইদ।
গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ ও যায়যায় দিন পত্রিকার প্রতিনিধি আহসান হাবিবের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতা আবু নাঈম আব্দুল্লার (যাযাবর নাঈম) অনুসারীরা।
এরপর সোমবার রাতেই বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে আহবায়ক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহকে সদস্য এবং প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জিকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু তিনদিন পার হলেও শেষ হয়নি তদন্ত।
জিডির মাধ্যমে নিরাপত্তা চাওয়া সাংবাদিকরা হলেন আজকের পত্রিকার ফাহাদ বিন সাইদ, যায়যায়দিন পত্রিকার আহসান হাবিব, আরটিভির প্রতিনিধি সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ান, আমার সংবাদ পত্রিকার নবাব মো. শওকত জাহান কিবরিয়া, ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি জিহাদুজ্জামান জিসান, খবরের কাগজের আসলাম বেগ, দেশ রূপান্তরের শাহাদৎ হোসেন, ভোরের কাগজের রাশেদুজ্জামান রনি এবং বাংলাভিশনের প্রতিনিধি রোহান চিশতীসহ ২৭ জন।
আরো পড়ুন: মারধরের ভিডিও ভাইরাল, রামেকের দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক সাময়িক বরখাস্ত
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের জিডির কপি পেয়েছি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি ত্রিশাল থানা এলাকায়, এ বিষয়ে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা ওয়াকিবহাল আছি। জিডির বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই আমরা ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে।
প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। একইসঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ধরনের সহিংসতা বা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং প্রক্টরিয়াল বডি কঠোরভাবে সেটি প্রতিহত করবে।