ইবি রেজিষ্ট্রারের অর্থ লেনদেনের একাধিক অডিও ফাঁস, নিরব প্রশাসন

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের সঙ্গে মঈন নামে এক ঠিকাদারের ‘অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত’ অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। ‘সাথী খাতুন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের চারটি কল রেকর্ড সংবলিত একটি অডিও ক্লিপ পাওয়া যায়। এতে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে শোনা গেছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেন রেজিস্ট্রার। অডিও ফাঁসের পর ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরপর গত ১ মে সাথী খাতুন’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে ৪৪ সেকেন্ডের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসনের ঠিকাদারের সঙ্গে ‘অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত’ নতুন আরেকটি আলাপন ফাঁস হয়। প্রথমে অডিও ফাঁসের পর তদন্ত কমিটি করা হয় ও প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট করলেও নতুন দুইটি অডিও ফাঁসের বিষয়ে নিশ্চুপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন: ইবির ধর্মতত্ত্বে ৪টি বিভাগ, মোট আসন ৩২০

ফাঁস হওয়া নতুন অডিওতে রেজিস্ট্রারকে বলতে শোনা যায়, এখন একটা চেক নিয়ে যান। দেওয়ার কথা ছিল ৬ লাখ এখন ৪ লাখ দেন। এক কাজ করেন ৫ লাখ দেন। আমার কথাও থাক আপনার কথাও থাক। অডিওতে ঠিকাদারকে বলতে শোনা যায়, কুষ্টিয়ার যেকোন জায়গা থেকে নিতে হবে। আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। আমি অনেক ইউনিভার্সিটিতে কাজ করেছি। টাকা একবারে নিয়েন।

এদিকে প্রথম অডিও ফাঁসের পর ১৯ মার্চ
তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হলেও এখনো তা জমা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রহস্যজনকভাবে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনও তদন্ত কার্যক্রম চলমান বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. সাইফুল ইসলাম।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ভাইরাল হওয়া অডিওগুলো সুপার ইডিটিং। কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এগুলো করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রতিবেদন জমা দিলে সে আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ