করোনাকালীন সেশনজট কাটাতে ব্যর্থ ১৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

  © লোগো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুবিন (ছদ্মনাম)। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তার স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার কথা ২০২১ সালে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ২০২৩ সালে এসেও স্নাতক সম্পন্ন হয়নি মুবিনের। বর্তমানে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। 

মুবিন বলেন, আমার বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনার কারণে বড় অংকের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। সেই ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আর বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে উঠেছে। ইচ্ছে ছিলো স্নাতক শেষ করে পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। কিন্তু সাড়ে পাঁচ বছরেও স্নাতক সম্পন্ন হয়নি। এখন পরিবারের কাছে টাকা চাইতেও দ্বিধা হয়। কোনোমতে টিউশন করে চলছি।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমাদের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে। কিন্তু কিছু পারিপার্শ্বিক কারণেই সেশনজট দীর্ঘায়িত হচ্ছে আর আমাদের হতাশা বাড়ছে। যখন আমার সমবয়সী বন্ধুদের চাকরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখি তখন নিজেকে ভীষণ রকম অসহায় আর ব্যর্থ মনে হয়।

“যখন সমবয়সী বন্ধুদের চাকরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখি তখন নিজেকে ভীষণ রকম অসহায় আর ব্যর্থ মনে হয়।”

শুধুমাত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুবিনই নন। একই অবস্থা দেশের মোট ১৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০২১ সালের ডিসেম্বর এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের অনেকেরই ২০২৩ এও স্নাতক সম্পন্ন হয়নি এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সবে চতুর্থ বর্ষে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে করোনাকালীন সেশনজট কাটিয়ে উঠতে ছয়মাসের সেমিস্টার চারমাসে করা, ছুটি কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগে গ্রহণের কথা বলা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়ন হয়নি।

দেশের সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক অবস্থান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে শুধুমাত্র  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস সম্পূর্ণভাবে করোনাকালীন সেশনজট কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় করোনাকালীন সেশনজট ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে কিছু বিভাগে ৪ থেকে ৬ মাসের সেশনজট রয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়েই ১০ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত সেশনজটে রয়েছে।

৮ থেকে ২৪ মাসের সেশনজটে ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়

সবচেয়ে বেশি সেশনজট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহে

তুলনামূলক বেশি সেশনজট বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে

৮ থেকে ২৪ মাস সেশনজটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সেশনজট রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ। এসব বিভাগে ১৪ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত সেশনজট রয়েছে। ল্যাব নির্ভরতা, খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং শিক্ষক সংকটকে এসব বিভাগে সেশনজটের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন তারা। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এবং মানবিক অনুষদেও ১২ থেকে ১৬ মাসের সেশনজট রয়েছে।

এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এখনো স্নাতক সম্পন্ন হয়নি এবং প্রতিটি বিভাগে ১২ থেকে ১৮ মাসের সেশনজট রয়েছে। এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও  সংস্কৃতি ইনস্টিটিটিউট, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ,  নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, চারুকলা বিভাগ এবং ফার্মেসি বিভাগে সর্বাধিক সেশনজট রয়েছে।

এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ দিদারে আলম মুহসীন বলেন, আমরা করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস এবং থিওরোটিকাল পরীক্ষা নিয়েছি কিন্তু ল্যাব পরীক্ষাতো অনলাইনে সম্ভব নয়। এক ব্যাচ এক ব্যাচ করে সশরীরে ল্যাব পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব কারণে সেশনজট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা যতটা সম্ভব সেশনজট কসিয়ে আনতে চেষ্টা করছি।

সশরীরে ল্যাব পরীক্ষা এবং শিক্ষক সংকটের কারণে সেশনজট পুরোপুরি কাটয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি: অধ্যাপক মুহাম্মদ দিদারে আলম মুহসীন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, চারুকলা এবং আইন অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহে প্রায় ১৬ মাস সেশনজট রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এখনো স্নাতক সম্পন্ন হয়নি। এছাড়া অন্যান্য বিভাগসমূহে প্রায় ১২ থেকে ১৪ মাসের সেশনজট রয়েছে।

সেশনজটের বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, করোনার কারণে প্রায় দুই বছর সব বন্ধ ছিলো। এসময় কিছু ক্লাস অনলাইনে নেয়া হলেও সব পরীক্ষা সশরীরেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কারণে সেশনজট থেকে গিয়েছে। তবে আমরা এ সেশনজট কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যেমন নতুন একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছুটি ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনে নিয়ে আসা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক সম্পন্ন হলেও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রায় এক বছর সেশনজটে রয়েছে। এছাড়া ইংরেজি বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগে প্রায় ১৬ মাসের সেশনজট রয়েছে।

ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের বিভাগে করোনার আগে থেকেই কিছু সেশনজট ছিলো। এরপর করোনার কারনে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিলো। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সবার সহযোগিতায় এই সেশনজট অনেকটাই কমিয়ে এনেছি। আশা করছি চলতি বছরে সেশনজট আরো কমে আসবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, সেশনজটের ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টা আমরাও বুঝি কারণ আমরাওতো একসময় শিক্ষার্থী ছিলাম। তাদের এই ভোগান্তির জন্য আমাদেরও খারাপ লাগে। তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেশনজট কমিয়ে আনার।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি সেশনজট রয়েছে গণিত, অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, সমাজবিজ্ঞান এবং কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। বিভাগগুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রায় ১৬ থেকে ১৮ মাসের সেশনজটে রয়েছে। এদের মধ্যে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮  শিক্ষাবর্ষের শুধুমাত্র ভাইভা বাকি রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যান্য বিভাগেও ১০ থেকে ১৪ মাসের সেশনজট রয়েছে। 

খাতা মূল্যায়ণ পদ্ধতি এবং শিক্ষক সংকট সেশনজট কাটিয়ে উঠতে না পারার অন্যতম কারণ: রিফাত ফেরদৌস, সভাপতি, অর্থনীতি বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি রিফাত ফেরদৌস বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী খাতা অপর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেকেন্ড এক্সামিন করেন এবং এই প্রক্রিয়ায় কারণে খাতা মূল্যায়ন করতেই প্রায় তিন-চার মাস চলে যায়। এছাড়া সেশনজট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষক সংকট। প্রায় সাড়ে চারশো শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে মাত্র ৬ জন।

“ইউজিসির লোড ক্যালকুলেশন হিসেব করলে আমাদের বিভাগে প্রয়োজনের অর্ধেক সংখ্যক শিক্ষক রয়েছে। এসব কারণে চাইলেই দ্রুততম সময়ে সেশনজট কমিয়ে আনা সম্ভব হয় না। তবে আমরা যতটা সম্ভব সেশনজট কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।”

একই বিষয় উল্লেখ করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সুমি রাণী সাহা বলেন, আমাদের সেশনজট কাটিয়ে উঠতে না পারার একটি বড় কারণ খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি। খাতা সেকেন্ড এক্সামিন হওয়ায় ফলাফল তৈরিতেই কয়েকমাস পার হয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, কৃষি অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহে প্রায় ১৮ মাস এবং আইন অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও মানবিক অনুষদের বিভাগসমূহ প্রায় ১২ থেকে ১৪ মাসের সেশনজটে রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেশনজটে রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। বিভাগটিতে প্রায় ২৪ মাসের সেশনজট রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষক সংকট, বিগত সময়ের কিছু পেন্ডিং পরীক্ষা, ল্যাব সংকট এবং বিভাগের কিছু ইন্টারন্যাল সংকটের কারণে সেশনজট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই আমরা সেশনজট কমিয়ে আনতে পারবো। 

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগসমূহে ১২ থেকে ১৮ মাসের সেশনজট রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষক সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এখনো সেশনজট কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব সেশনজট কেমিয়ে আনা যায়। যেমন সম্প্রতি আমরা ৬ মাসের সেমিস্টার ৪ মাস করেছি।

সেশনজটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি এবং করোনা পরবর্তী সময়েও রিকভারি প্লান দিয়েছি। সকল উপাচার্য রিকভারি প্লান ফলো করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন।

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই রিকভারি প্লান অনুসরণ করে করোনাকালীন সেশনজট কাটিয়ে উঠেছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি এই রিকভারি প্লান অনুসরণ করার করার বিষয়ে সম্মত হয়েও তা না করে সেটি তাদের বিষয়। কারণ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলে ইউজিসি তাদের কোনো কিছুতে বাধ্য করে না।”