ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে তল্লাশি
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:২৪ PM , আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:২৪ PM
অডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ তালা দেয় গেটে। পরে কার্যালয়ে ডিভাইস ও ক্ষতিকর কিছু আছে কি-না, তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্দোলনকারী ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় ভিসির নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রক্টর ও তার সহকারীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তালা খোলার চেষ্টা করেও সফল হননি।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ডিভাইস তল্লাশি করেছে প্রক্টর, পুলিশ ও সিকিউরিটি সেল। উপাচার্যের কার্যালয়ে এ তল্লাশি চালানো হয়। তবে কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে অগ্রিম চাকরির প্রশ্নফাঁস ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিসির একাধিক অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়।
অডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিসিকে দুর্নীতিবাজ ও চোর আখ্যা দিয়ে রোববার ডে লেবার ও ‘অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ’ ভিসির পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা বিশ্বাবিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। তাদের বেশিরভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
এদিকে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নিয়োগ বোর্ডের প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত কয়েকটি ফোনালাপ ফাঁসের পর বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ‘কণ্ঠসদৃশ’ একাধিক কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দু’টি ফেসবুক আইডি থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পরপর পাঁচটি ফোনালাপের অডিও পোস্ট করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপাচার্যের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।