পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পান না ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়   © সংগৃহীত

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেরই টার্গেট থাকে আবাসিক হলের একটি সিট পাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে একটি সিট পেলে অনেকক্ষেত্রেই সুবিধা হয় শিক্ষার্থীদের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে বিদায় নেয়ার আগেও অনেকেরই কপালে সেই সিট জুটে না। অন্যদিকে অনেক শিক্ষার্থীকে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ শেষ হলেও বছরের পর বছর ধরে হলের কক্ষ দখল করে রাখে। এতে করে নবীন শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার স্বপ্ন সোনার হরিণে রূপ নেয়। 

শিক্ষার্থীদের তুলনায় অপর্যাপ্ত আবাসিক হল থাকায় দেশের স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসা কম শিক্ষার্থীই আবাসন সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাত্র ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাচ্ছে বাকি ৮৮ শতাংশ এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। 

দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫০ টি। এর মধ্যে একমাত্র সম্পূর্ণ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সেখানে প্রায় ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পাচ্ছে না। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোন আবাসনের ব্যবস্থা। তাছাড়া আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা শূন্যের কোটায়। এছাড়াও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া নতুন চার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও নেই কোন আবাসন সুবিধা। 

সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো নিয়ন্ত্রিত হয় ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনগুলোর মাধ্যমে। ফলে প্রশাসন অছাত্র ও বহিরাগতদের বের করতে পারেনা। এতে বৈধ শিক্ষার্থীরা আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দিন দিন প্রকট হচ্ছে আবাসন সংকট।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ (২০২০) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ লাখ ১৫ হাজার ৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসন সুবিধা রয়েছে মাত্র ১ লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ জন শিক্ষার্থীর। প্রতিবেদন অনুযায়ী শতকরা ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থীই আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ সংখ্যা বেড়েছে। এর আগের বছর ৬৬ ভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল।

ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩টি আবাসিক হল ও ছাত্রাবাস রয়েছে। ১৬ হাজার ৮৯৯ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা হলেও অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য কোনো আবাসনের ব্যবস্থা নেই। ৩৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩ শতাংশের নেই কোন আবাসনের ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এক ঢাবিতেই অধ্যাপক বেশি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৩৮ শিক্ষার্থী থাকলেও ছেলেদের জন্য কোন আবাসন সুবিধা নেই। প্রতিষ্ঠার এক যুগ পর এবছর মেয়েদের জন্য একটি হল নির্মাণ করলেও সেখানে সিট পেয়েছে ১২০০ শিক্ষার্থী। আরও ১৫ হাজার ৮৩৮ জন শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮টি হল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৮ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থী মধ্যে মাত্র ৯ হাজার ৭২ জন শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৬ শতাংশের নেই কোন আবাসনের ব্যবস্থা।

তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীদের জন্য ১৪টি হল রয়েছে। আর পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজর ৪২১ শিক্ষার্থীদের জন্য ৮টি হল রয়েছে।

ইউজিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থীর জন্য ৩ হাজার ৪৮৪টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৪৮৩ শিক্ষার্থীর জন্য ৫ হাজার ৯৮টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩৩৮ শিক্ষার্থীর জন্য ২ হাজার ২৭২টি, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ হাজার ৫৪৭ শিক্ষার্থীর জন্য ৩ হাজার ২৯০টি, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৫০২ শিক্ষার্থীর জন্য ১ হাজার ৪৭১টি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩৪২ শিক্ষার্থীর জন্য ১ হাজার ৯০৪টি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৭৩৮ জন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ৪২৮ জন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজার ৩৭৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৭৩৮ জনের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ হাজার ৫৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৬১ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধা রয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ হাজার ৫৯ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ রয়েছে। ৮টি হলে ২ হাজার ৪৩৭ শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ রয়েছে। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ৯৯৭ শিক্ষার্থীর জন্য ৮টি আবাসিক হল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনের সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: সমাবর্তন চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৩৬৭ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৪৮ জনের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৭৮০ জনের, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজার ১৮৮ জনের মধ্যে ১ হাজার ৫৬২ জনের, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৭৭০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ জনের, চুয়েটে ৫ হাজার ৯৫৪ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪৯৩ জনের, রুয়েটে ৫ হাজার ৮০৯ জনের মধ্যে ২ হাজার ৫৭ জনের, কুয়েটে ৫ হাজার ৯৫০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৪৯৭ জনের, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫৪৭ জনের মধ্যে ১ হাজার ১৩০ জনের, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ১৬৫ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯৬৮ জনের, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৩৭ জনের মধ্যে ১ হাজার ৭০০ জনের, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ হাজার ৯৯ জনের মধ্যে ৮৩৭ জনের, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ৮ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে ৩৭০ জনের, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৯৪৮ জনের মধ্যে ৬৮০ জনের, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৯৯০ জনের মধ্যে ১ হাজার ৪৬৩ জনের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮২ জনের মধ্যে ১৬৪ জনের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ১৯৮ জনের মধ্যে ৪৯ জন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৯৭ জনের মধ্যে ১৪১ জনের রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮৩ জনের মধ্যে ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ রয়েছে।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন ব্যবস্থা শূন্যের কোটায়

চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আররি বিশ্ববিদ্যালয়,  চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আররি বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে এদের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কলেজগুলো ও ইসলামি আররি বিশ্ববিদ্যালয় ফাযিল-কামিল মাদ্রাসাগুলো এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সকল স্তরের জনগনের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের মতে ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান সঠিক নয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধা পাচ্ছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়তো হলে থাকার মত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সংকট আছে সেটা নিরসনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষকদের ডরমিটরতে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথাৎ যে সকল শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে থাকেন না সেখানে শিক্ষার্থীরা থাকবে। ইউজিসির ডেভলেপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায়ও হল সংকট নিরসনের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট না পাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আবাসিক সুবিধা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনেককেই থাকতে হয় ক্যাম্পাস থেকে দূরে, যা তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটায়। আলাদাভাবে থাকার কারণে বেড়ে যায় তাদের অর্থনৈতিক ব্যয়ও। অনেককেই বাধ্য হয়ে থাকতে হয় ব্যয়বহুল বাসা ভাড়া করে। আবার কাউকে বাধ্য হয়ে থাকতে হয় অপরিচ্ছন্ন ও নিম্নমানের ব্যক্তিমালিকানার ছাত্রাবাসে।

বিভিন্ন স্থান থেকে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য আসে, আবাসন সঙ্কটের কারণে ব্যাহত হয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আরও বড় বিপদ ডেকে আনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধা না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের খরচ বেড়ে যায়। যা অনেক পরিবারের পক্ষে বহন করা কষ্টকরই শুধু নয়, হয়ে ওঠে অসম্ভব। হলে  একটা সিটের জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের দলীয় লেজুড়বৃত্তির শিকার হয়ে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে বাধ্য করা হয় বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গণরুমে গাদাগাদি করে থাকতে গিয়ে অনেকেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য পড়ালেখার একটা সুষ্ঠু পরিবেশ আর বৈশ্বিক র‍্যাংকিং যেটাই বলুন না কেন আবাসিক ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা এখনো আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারিনি। আবাসন সমস্যা দূরীকরণে ইউজিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন খাতে আরো বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান হলগুলোতে যে দখলদারিত্ব, অছাত্র ও বহিরাগতদের অবস্থান তার সমাধান করতে হবে।

হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল ছাত্রলীগ সভাপতি শহীদুল হক শিশির বলেন, হলে সিট বাণিজ্য, কক্ষ দখল, সরকার দলীয় রাজনীতি করতে বাধ্য করা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। হলে সিট বরাদ্দ দেয়, নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। ছাত্রলীগতো হল নিয়ন্ত্রন করে না। আমরাও অন্যদের মত সাধারণ ছাত্র। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তাবায়নে কাজ করে। এসবের সাথে ছাত্রলীগের কোন সম্পর্ক নেই। নতুন হল নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সংকট দ্রুত নিরসনের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। 


সর্বশেষ সংবাদ