ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ১০:১২ PM , আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ১০:৩২ PM
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রণীত প্রহসনের অভিন্ন নীতিমালা প্রতিহত, নবম পে-স্কেল প্রদান ও পে-স্কেল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন (বাআবিকফ) কর্তৃক ঘোষিত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি ও সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দ এবং যবিপ্রবি কর্মচারীবৃন্দ। সোমবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১ টা থেকে মানববন্ধনগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে জানে বাঁচলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, নিহত ১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সাইদ মানববন্ধনে বলেন, আজকে আমাদের রাজপথে নামার জন্য কিছু ইদুর আমাদের দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এখানে কাজ করে আমরা পরিবার চালাই। প্রহসন মূলক অভিন্ন নীতিমালা প্রতিহত করতে আমাদের এক হতে হবে, যারা এই নীতিমালার সাথে জড়িত তারা সহায় হন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট।
যবিপ্রবির মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ২২ মে ২০২২ খ্রি. তারিখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ আত্মবিশ্ববিদ্যাল কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী নিয়োগ , পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা নিয়ে মতামত প্রদানের এক সভা অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সেই মতামতকে উপেক্ষা করে অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ সকল দাবি বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত প্রহসনের অভিন্ন নীতিমালা প্রতিহত করতে সকলে প্রস্তুত রয়েছে। তাই আশা করি সরকার এই বিষয়ে দ্রুত সমাধান করে রাষ্ট্রের কর্মচারীদের আশা আলো জ্বালাবে।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, গত ২২ মে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের (বাআবিকফ) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী নিয়োগ, পদন্নোতি ও পদন্নোতি সংক্রান্ত সভায় মতবিনিময় হয় কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তা যদি বাস্তবায়ন হয় তবে প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা ভীষন ক্ষতির সম্মুখীন হবে।