আরও এক মাস বাড়ল ৪৪তম বিসিএসের আবেদনের সময়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪০ PM , আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০৩ PM
এক মাস বাড়ানো হয়েছে ৪৪তম বিসিএসের আবেদনের সময়। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে আবেদনের শেষ সময় নির্ধারণ করা আছে আগামী ৩১ জানুয়ারি।
পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউজিসির মাধ্যমে আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের যারা অ্যাপেয়ার্ড পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা এই বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: যে অভিযোগে আটক শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী
আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এই ওয়েবসাইটে গিয়ে পিএসসির নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর থেকে। ৪৪তম বিসিএস হবে সাধারণ (জেনারেল)। এ বিসিএসে নেওয়া হবে ১ হাজার ৭১০ জনকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নেওয়া হবে ৭৭৬ জন।
বিসিএস আবেদন ফরমে তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশে ব্যক্তিগত তথ্য, দ্বিতীয় অংশে শিক্ষাগত যোগ্যতা-সম্পর্কিত তথ্য এবং তৃতীয় অংশে ক্যাডার পছন্দের তথ্য। সঠিকভাবে নির্দেশনা অনুসরণ করে ফরম পূরণ করতে হবে। কারণ, অনলাইনে আবেদন করার পর কোনো পর্যায়েই প্রার্থীর ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য পরবর্তী সময়ে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না। মিথ্যা তথ্য দিলে যেকোনো পর্যায়ে তার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল হবে।
আরও পড়ুন: অডিটর নিয়োগের প্রশ্নফাঁসে রূপাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা
এছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে প্রার্থীকে।টেলিটক প্রি-পেইড মুঠোফোনের মাধ্যমে আবেদন ফি ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে। তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা জমা দিতে পারবেন।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, করে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাক ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।