অডিটর নিয়োগের প্রশ্নফাঁসে রূপাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

প্রশ্নফাঁসে আটকের পর
প্রশ্নফাঁসে আটকের পর  © ফাইল ছবি

প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের ‘অডিটর’ পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস এবং উত্তর সরবরাহের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া নেত্রী মাহবুবা নাসরিন রূপাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ থেকে উঠে এসে ২৭ বছরে প্যানেল মেয়র, জড়ালেন প্রশ্নফাঁসে

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে এ দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলায় ৬ জন ও অন্যটিতে ৮ জনের নাম উল্লেখ আছে এজাহারে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি আছেন কয়েকজন।

গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। আসামি করা হয়েছে নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, নাইমুর রহমান তানজির, শহিউল্লাহ, ফারুক ও রায়হানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে।

আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসে জড়িত রূপাকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি

মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরীক্ষার্থীদের অনেককে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রশ্ন ও উত্তর সরবরাহ করেন। তাদের ফাঁস করা প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নে হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

একই রাতে রমনা থানায় পৃথক মামলা করেন ডিবির গুলশান বিভাগের এসআই শহিদুর রহমান। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে আল আমিন আজাদ রনি, রাকিবুল হাসান, হাসিবুল হাসান, নাহিদ হাসান, মাহবুবা নাসরিন রুপা, রাজু আহমেদ, মো. নোমান সিদ্দিকী ও মাহমুদুল হাসান আজাদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে।

৫৫০ জন অডিটর পদে নিয়োগের জন্য ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ পর্যন্ত ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। চাকরিপ্রত্যাশীদের অনেকে অভিযোগ তোলেন, এই পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও কাকরাইল এলাকা থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।

আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের পরও অডিটর পরীক্ষার ফল প্রকাশ

তাদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ মহাহিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ) অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা এবং মাহবুবা নাসরীন রুপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ইয়ার ডিভাইস ৬টি, মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার ৬টি, ব্যাংকের চেক ৫টি, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৭টি, স্মার্ট ফোন ১০টি, বাটন মোবাইল ৬টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র তিন সেট জব্দ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ