ছাত্রলীগ থেকে উঠে এসে ২৭ বছরে প্যানেল মেয়র, জড়ালেন প্রশ্নফাঁসে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫১ PM , আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫১ PM
কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স কার্যালয়ের ‘অডিটর’ পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এর মধ্যে একজন মাহবুবা নাসরিন রূপা। তিনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী। রূপা রাজধানীর ইডেন কলেজ থেকে পড়ালেখা করেছেন। ছাত্র জীবনে জড়িত ছিলেন সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে। তিনি কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৪-১৬ লাখ টাকার চুক্তিতে ফাঁস হয় প্রশ্ন
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুও গণমাধ্যমকে রূপার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাহবুবা নাসরিন রূপা ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী। বর্তমানে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
গ্রেপ্তার বাকি ব্যক্তিরা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তাদের আটকের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের ফেসবুকের বেশ আলোচনা শুরু হয়। মাহবুবা নাসরিন রূপার এক শুভাকাঙ্খী ফেসবুকে লিখেছেন, এই অল্প বয়সী একজন রাজনীতিকের অর্জন অনেক বেশি ছিল। কিন্তু উচ্চাকাঙ্খা বিপথে ঠেলে দিয়েছে। তিনি সুখে থাকতে চাননি, ক্ষমতাশালী হতে চেয়েছেন। টাকা-পয়সার মালিক হতে চেয়েছেন। ফলাফল দেশের সমস্ত মিডিয়ায় তার কুকীর্তির খবর ফলাও করে প্রচার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘অডিটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস!
আটককৃতদের কাছ থেকে ছয়টি ইয়ার ডিভাইস, ছয়টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার, পাঁচটি ব্যাংকের চেক, সাতটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০টি স্মার্ট ফোন, ছয়টি বাটন মোবাইল, ১৮টি প্রবেশপত্র এবং ফাঁস হওয়া তিন সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এসব ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর পাঠানো হয়।