পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে বিক্ষুব্ধ চবি ছাত্রলীগ

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়া দুই জনের কমিটি দিয়ে প্রায় ৩ বছর চলছে চবি ছাত্রলীগ। দুই নেতার আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দপায় দপায় সংঘর্ষ চললেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে।

১৮ জানুয়ারী গভীর রাতে ছাত্রলীগের উপশাখা সিএফসি এবং বিজয়ের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের জের ধরে সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম রাতে দুই গ্রুপকে হলে ঢুকিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন।

আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে ইউজিসি, শিক্ষক সমিতির ‘না’

১৩ জানুয়ারী দুপুর ২টার দিকে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জিরো পয়েন্ট এলাকায় শতাধিক নেতা-কর্মী জড়ো হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে। মূলত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু এবং উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নাজমুল ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসলে তাদের অবরুদ্ধ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি জোরালো করা হয়।

এতে নেতা-কর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই সদস্যেই চলছে চবি ছাত্রলীগের কমিটি। আমরা কমিটি পূর্ণাঙ্গের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছে। আমরা চাই পড়াশোনা শেষ করার আগে ছাত্রলীগের একটি পরিচয় পেতে। কেন্দ্রীয় দুই নেতা আন্দোলনে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আশ্বাস দিলে পরে তারা ফিরে যান।

কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে গত ৯ নভেম্বর আগ্রহী কর্মীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হলে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৪ শত আবেদন জমা পড়ে। যদিও কমিটিতে পদ আছে ১৫১টি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দফতর সেলে পাঠানোর নির্দেশনা হয়। কিন্তু দুই বছরের বেশি সময় পার হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি রুবেল-টিপু। ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারেই ব্যস্ত ছিলেন তারা।

আরও পড়ুন:মধুমতি ব্যাংকে একাধিক পদে চাকরি সুযোগ

বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে উপ-গ্রুপগুলোর নেতাকর্মীরা সংঘাতে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার, ছাত্রী হেনস্থা, নির্মাণাধীন প্রকল্পে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়েছে। ফলশ্রুতিতে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারও করেছে চবি প্রশাসন।

কমিটি গঠনের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে সভাপতি রেজাউল হক রুবেল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের রাজনীতি দুটি শাখায় বিভক্ত। মহীবুল হাসান নওফেল অনুসারী হিসেবে আমার উপগ্রুপ সবকিছু নিয়ে প্রস্তুত। বাকি গ্রুপগুলো প্রস্তুত হলেই আমরা কেন্দ্রে যাবো। এছাড়াও কেন্দ্রের নির্দেশনা রয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি প্রস্তুত করার।

আ জ ম নাসির অনুসারী হিসেবে ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, আমাদের অনেকগুলো উপগ্রুপ ক্যাম্পাসে। আমরা চাইলেই সবকিছু করে ফেলতে পারি না। তবে ২৫ জানুয়ারীর মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু প্রস্তুত করার।


সর্বশেষ সংবাদ