৪৯তম বিসিএসের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০১:০৫ AM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:০২ AM
৪৯তম বিশেষ বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে ৬৮৩ জন নিয়োগের জন্য গত ২১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এক সপ্তাহ পর ২৯ জুলাই বিজ্ঞপ্তির কিছু অংশে সংশোধনী আনা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে প্রথম প্রকাশিত মূল বিজ্ঞপ্তিই কার্যকর রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা ক্যাডারের শূন্যপদসমূহ প্রতিযোগিতামূলক ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে পূরণের জন্য গত ২১ জুলাই মূল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে ২৯ জুলাই একটি স্মারকের মাধ্যমে মূল বিজ্ঞপ্তির সংশোধনী জারি করা হয়। তবে সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করায় ২১ জুলাই প্রকাশিত মূল বিজ্ঞপ্তিই কার্যকর থাকবে। এটি পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
মূল ও সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংশোধনীতে শিক্ষা ক্যাডারের পাঁচটি বিষয়ের প্রভাষক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় কোডে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। প্রথম প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে অর্থনীতি বিষয়ে প্রভাষক নিয়োগের কোড ছিল ১১৮, পরে সংশোধনীতে এর সঙ্গে ৭০২ কোড যুক্ত করা হয়। একইভাবে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ১৩৭-এর সঙ্গে ৬৯৮, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে ১০৯-এর সঙ্গে ৭০০, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে একাধিক কোডের সঙ্গে ৬৯৯ এবং সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ইসলামি আদর্শ বিষয়ে ১৩১-এর সঙ্গে ৭০১ কোড যুক্ত করা হয়। সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের ফলে এসব অতিরিক্ত কোড বাতিল হয়ে গেছে এবং মূল বিজ্ঞপ্তির কোড বহাল রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে গত ২২ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে এবং চলবে আগামী ২২ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফলভাবে আবেদনকারীরা পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফি জমা দিতে পারবেন। আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। প্রার্থীর বয়স এর কম বা বেশি হলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।