৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ১ অথবা ২ ডিসেম্বর

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

আগামী ডিসেম্বর মাসের ১ অথবা ২ তারিখ থেকে ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।

বুধবার (৯ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান তিনি।

পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার কাজ শেষ হয়েছে। এখন নম্বর এন্ট্রির কাজ চলছে। এটিও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অন্তত ১০ দিনের বিরতী দিয়ে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। আগামী ১ অথবা ২ ডিসেম্বর এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে সরেজমিনে বুধবার সকালে পিএসসি’র কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কমিশনের পরীক্ষা (ক্যাডার) শাখার কর্মকর্তা ৪১তম বিসিএসের ফল তৈরির কাজ করছেন। তারা সকলেই রেজাল্ট প্রসেসিং রুমে ফল তৈরির কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে ফল তৈরির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামীকাল দুপুরের মধ্যে ফল তৈরির কাজ শেষ করতে পারলে কাল ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ আমরা বলতে চাই না। তবে এতটুকু বলতে পারি খুব অল্প সময়ের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ২১ হাজার ৫৬ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আবশ্যিক বিষয়ের খাতার সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৩৩৬টি। এই খাতাগুলোর মধ্যে ১৫ হাজার খাতায় ২০ নম্বরের গড়মিল হয়েছিল। পরবর্তীতে এই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। সেজন্য ফল প্রকাশে কিছুটা দেরি হচ্ছে।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন চার লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। 

৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষায় ৯০৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বিভাগে ১০ জন প্রভাষক নেওয়া হবে। শিক্ষার পর বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

পুলিশে ১০০ জন, বিসিএস স্বাস্থ্যে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জন নেওয়া হবে। ৪১ তম বিসিএসে পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জন নেওয়া হবে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন। ৪১ তম বিসিএসে সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) হিসেবে ১৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ