বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে মানববন্ধন

  © সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

এসময় ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কারিমুল হক জানান, ‘২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আমরা সর্বমোট ৪২৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছি কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন নেই। পূর্বে আমরা জানতাম আমরা বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস) ইনস্টিটিউটের অধীনে অধ্যায়নরত রয়েছি কিন্তু সাবেক উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে জানতে পারি আমাদের বিভাগটি ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়। এবং বিলওয়াবস ইনস্টিটিউটটি উচ্চতর ডিগ্রী প্রদানের জন্য, এখানে স্নাতক ডিগ্রী প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। এসময় এই শিক্ষার্থী আরো বলেন যে, ‘গতকাল (১ জানুয়ারি) থেকে আমরা ক্লাস বর্জন করেছি এবং ৬ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে অনুমোদন প্রদান না করা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো।’

2 (19)

মানববন্ধন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা চত্বর, হল চত্বর, প্রশাসনিক ভবন এবং শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সমাপ্ত হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান জানান, ‘আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বশেমুরবিপ্রবি। ইউজিসি বিভাগটির অনুমোদন প্রদান না করলেও ২০১৮-১৯ এ বিভাগটির শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ করা হয় এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষেও এই সংখ্যা বজায় রাখা হয়। অনুমোদন না থাকার পাশাপাশি বিভাগটিতে শিক্ষক সংকট এবং ক্লাসরুম সংকটও রয়েছে। প্রায় তিন বছর পার হয়ে গেলেও বিভাগটিতে কোনো শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়নি, উপাচার্যের অনুরোধের ভিত্তিতে বিলওয়াবসের শিক্ষকরাই বিভাগটির শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ