অধ্যাপক ড. মামুন হাবিব

‘তরুণ প্রজন্মের ইন্ডাস্ট্রি ফোকাসড গবেষণা বাড়াতেই আইইউবির আইসিইবিটিএম সম্মেলন’

অধ্যাপক মো. মামুন হাবিব, পিএইচডি
অধ্যাপক মো. মামুন হাবিব, পিএইচডি  © টিডিসি ফটো

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জ্ঞান ও ধারণা বিনিময়, নেটওয়ার্কিং সৃষ্টি ও ইন্ডাস্ট্রি ফোকাসড গবেষণার চিন্তা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)। আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইকোনমিকস, বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট (আইসিইবিটিএম ২০২৫)’ নিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন আইসিইবিটিএম ২০২৫-এর জেনারেল চেয়ার ও আইইউবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মামুন হাবিব, পিএইচডি। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের স্টাফ রিপোর্টার তৌহিদ তুহি।

আন্তর্জাতিক কনফারেন্স নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী অধ্যাপক মো. মামুন হাবিব। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, ‘দুই ভাবে চিন্তা করে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাকাডেমিক টার্গেট অন্যতম। সেটার মধ্যে আছে রিসার্চ পেপার প্রস্তুত করা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্ত হওয়া, নেটওয়ার্কিং সৃষ্টি করা ইত্যাদি। দ্বিতীয়ত, তরুণ প্রজন্মকে গবেষণায় যুক্ত করা। আমরা চাইছি গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন ডাইমেনশন তৈরি করতে। ইন্ডাস্ট্রি ফোকাসড রিসার্চে জোর দেওয়া হচ্ছে। বেসিক গবেষণা হল, আমরা একটা গবেষণা করে প্রকাশ করে দিলাম। কিন্তু এটাতে কীভাবে ইন্ডাস্টিতে যুক্ত করব, সেটা নিয়ে কথা বলতে চাইছি। গবেষণাকে আমরা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজে লাগাতে চাইছিসবকিছু মিলিয়েই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। যদিও ২০২০ সালে এই কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।’

কনফারেন্সের থিম সাসটেইনেবিলিটি ফোকাস ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড ইন গ্লোবাল রিসার্চ উল্লেখ করে ডেইলি ক্যাম্পাসকে এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমরা ফোকাসড ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড ইন গ্লোবাল অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চের কথা বলেছি। ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, তিনটা কিওয়ার্ডকে কম্বিনেশন করে এটা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি বিশ্বে কি হচ্ছে সেটা জানতে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মটা সম্পর্কে জানাতে, তারপর টেকনোলজিকে পুরো ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে নিয়ে আসতে কথা বলব। আমাদের শুরু করতে হবে ইয়াং জেনারেশনকে নিয়ে। এই থিমের সঙ্গে বাংলাদেশে যে মার্কেট ডিমান্ড আছে, গ্লোবাল মার্কেট যে ডিমান্ড আছে, ওটাকে একটা কম্বিনেশন করে আমরা প্লেস করার চেষ্টা করছি।’

আমাদের মূল টার্গেট গ্র্যাজুয়েটস এমপ্লয়েবিলিটি তৈরি করা। এ জন্য ইয়াং স্কলার তৈরি করা। এ জন্য কনফারেন্সে ওয়ার্কশপ রাখা হয়েছে, মিট দ্য জার্নাল এডিটর রাখা হয়েছে। যাতে একদম প্র্যাকটিক্যালি তাদের জার্নাল কানেক্ট করে দেওয়া সম্ভব হয়। কনফারেন্স এবার আমরা শুরু করলাম, তবে এখানেই শেষ না আমরা কন্টিনিউ করব। কনফারেন্সের পরে আমাদের যে ফাইন্ডিংগুলো আসবে, তা পর্যালোচনা করা হবে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় দেশ পিছিয়ে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘র‍্যাঙ্কিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে, কিন্তু আমরা যদি কিউএস র‍্যাঙ্কিং নিয়ে কথা বলি বা টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিং নিয়ে কথা বলি সেটা একটা স্পেশাল পার্ট। বাংলাদেশের যেসব ইউনিভার্সিটি আছে, আমাদের আসলে শিক্ষার দিকে মূল ফোকাসে নিয়ে রেখেছি। যে কারণে র‍্যাঙ্কিংয়ের দৌড়ে আমরা অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। এর মূল কারণ গবেষণা কম হওয়া। এ জন্য আমাদের এমন কনফারেন্স যত বেশি হবে, তখন গবেষণায় মনোযোগ বাড়বে। গবেষণার এই ভ্যালুটা কিন্তু ইউনিভার্সিটির র‍্যাঙ্কিংয়ে অ্যাড হবে।’

বাংলাদেশের গবেষকরা মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়েও অনেক পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক হাবিব বলেন, ‘আমরা আশা করি ইনশাআল্লাহ এই কনফারেন্সের মাধ্যমে ভালো কিছু আসবে। একটা বড় একটা ব্যাপার হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল কালচারের সঙ্গে আমাদের কালচারটা একটু আলাদা। এখানে আমরা শিক্ষাতে জোর দিই। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান-ভারত ইতোমধ্যে একটু এগিয়ে গেছে। তারা গবেষণায় ভালো করছে। কিন্তু আমরা ওই কালচার থেকে বের হতে পারছি না। এ জন্য যেটা করতে হবে ইউনিভার্সিটিতে গবেষণায় ফোকাস বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবসম্মত ও কর্মমুখী শিক্ষা হতে হবে। এখানে ফ্যাকাল্টি মেম্বারদেরও দায়িত্ব অনেক। আমাদের ইয়াং জেনারেশনকে জায়গায় দিতে হবে, পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক লেভেলে তাদের ফাইট দেওয়ার জন্য তৈরি করতে হবে।’

কনফারেন্সের জন্য ৭০টির বেশি স্টুডেন্টস পেপার জমা পড়েছে বলে জানান এই অধ্যাপক। তার ভাষ্য, ‘এটা আমাদের কাছে অনেক বিশাল মনে হচ্ছে। আমরা ভাবিনি এমন সাড়া পড়বে। যদিও কনফারেন্সে আগে একটা প্রি-কনফারেন্স ওয়ার্কশপ করেছি স্টুডেন্টদের জন্য। আমাদের কাছে পরে মনে হচ্ছে, যদি আমরা আরও বড় স্কেলে করতে পারি, তাহলে আরও ভালো ইয়াং স্কলার হয়তোবা আমরা পেতে পারতাম।’

‘আমাদের মূল টার্গেট গ্র্যাজুয়েটস এমপ্লয়েবিলিটি তৈরি করা। এ জন্য ইয়াং স্কলার তৈরি করা। এ জন্য কনফারেন্সে ওয়ার্কশপ রাখা হয়েছে, মিট দ্য জার্নাল এডিটর রাখা হয়েছে। যাতে একদম প্র্যাকটিক্যালি তাদের জার্নাল কানেক্ট করে দেওয়া সম্ভব হয়। কনফারেন্স এবার আমরা শুরু করলাম, তবে এখানেই শেষ না আমরা কন্টিনিউ করব। কনফারেন্সের পরে আমাদের যে ফাইন্ডিংগুলো আসবে, তা পর্যালোচনা করা হবে। এ ছাড়া প্রসিডিং বের হবে, যা আমাদের অনলাইনে থাকবে যত দিন ইউনিভার্সিটি থাকবে। আগামী বছর হয়তো বড় করে হবে না, কিন্তু ছোট করে করা হবে। তারপর দুই বছর পর বড় স্কেলে হবে কিন্তু ধারাবাহিকতা থাকবে’, যোগ করেন অধ্যাপক হাবিব।

আন্তর্জাতিক গবেষণা অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় দেশ পিছিয়ে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, র‍্যাঙ্কিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে, কিন্তু আমরা যদি কিউএস র‍্যাঙ্কিং নিয়ে কথা বলি বা টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিং নিয়ে কথা বলি সেটা একটা স্পেশাল পার্ট। বাংলাদেশের যেসব ইউনিভার্সিটি আছে, আমাদের আসলে শিক্ষার দিকে মূল ফোকাসে নিয়ে রেখেছি। যে কারণে র‍্যাঙ্কিংয়ের দৌড়ে আমরা অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। এর মূল কারণ গবেষণা কম হওয়া। এ জন্য আমাদের এমন কনফারেন্স যত বেশি হবে, তখন গবেষণায় মনোযোগ বাড়বে। গবেষণার এই ভ্যালুটা কিন্তু ইউনিভার্সিটির র‍্যাঙ্কিংয়ে অ্যাড হবে।

ভালো কাজের জন্য দেশে দক্ষ লিডারশিপের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে অধ্যাপক হাবিব বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব তৈরি করতে চাচ্ছি। এই কনফারেন্সের জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাতজনের একটা টিম করেছি। মোটামুটি ২৭ জন ভলান্টিয়ার আছে, যারা কনফারেন্সে কাজ করছে। আমি তো বিশ্বাস করি এই ভলান্টিয়াররা আগামী বছর নেতৃত্ব দেবে।’

কনফারেন্সে টেকনোলজির পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পেপার প্রেজেন্ট হবে বলেও জানান অধ্যাপক হাবিব। তিনি বলেন, ‘ বিশ্বে ক্লিনিং থেকে শুরু করে সব জায়গায় এআই অ্যাপ্লাই হচ্ছে। দেশের মধ্যে এগুলো অ্যাপ্লাই করতে প্রথমত মাইন্ডসেট, পরে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence