অর্থ আত্মসাৎ
নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যানসহ ট্রাস্টি বোর্ডের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ PM , আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ PM
নর্দান ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ট্রাস্টের (আইবিএটি) চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাজিদ-উর-রোমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, নর্দান ইউনিভার্সিটির ১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফসহ ট্রাস্টি বোর্ডের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন নর্দান ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. এম শামছুল হক, নির্বাহী সচিব ও ট্রাস্টি হালিমা সুলতানা জিনিয়া, ট্রাস্টি সাদ আল জাবির আব্দুল্লাহ, মোসাম্মাৎ হাবিবুন নাহার, নাজমুস সাদাত এবং ট্রাস্টি লাবিবা আব্দুল্লাহ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই দুদকের করা ঢাকা-১ এর ৫ নম্বর মামলায় প্রাসাদ নির্মাণ বাবদ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠান দুটির তহবিল থেকে ১৯ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ অর্থ আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। পরে উত্তোলন ও আত্মসাৎ করে নিজেদের এবং অন্যদের অবৈধভাবে লাভবান করেন।
দুদক জানায়, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আইবিএটি ট্রাস্টের তহবিল থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে কোটি কোটি টাকা একাধিক চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের হিসাব থেকেও বিপুল অর্থ আইবিএটি ট্রাস্টের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ওই অর্থ আসামিদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানে সরানো হয়। এছাড়া আত্মসাৎকৃত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং করেছেন আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৩/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।