সৃজনশীলতা থেকে কর্মসংস্থান—দেশেই বিশ্বমানের শিক্ষা দিচ্ছে ইউসিএসআই’র ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি  © টিডিসি ফটো

বিশ্ব এখন এমন এক সৃজনশীল বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে, যেখানে উন্নত ও আধুনিক ভিজ্যুয়াল আর্টস, ডিজাইন ও ফ্যাশনের সংমিশ্রণে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে নতুন এক দুনিয়া। ক্রিয়েটিভিটি এখন আর শুধু শিক্ষার্থীদের শখ কিংবা ডিগ্রি নেওয়ার বিষয় নয়। বরং এর মাধ্যমে তারা এমনভাবে তৈরি হচ্ছেন, যারা চিন্তা করছেন ভিন্নভাবে—কাজ করছেন সৃজনশীলভাবে। সর্বোপরি প্রযুক্তির বিশ্বে রাখছেন দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব। ঠিক এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের ফ্যাকাল্টি অব ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন (FCAD-এফসিএডি) হয়ে উঠেছে তরুণদের স্বপ্নপূরণের নতুন এক ঠিকানা।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউসিএসআইয়ের ফ্যাকাল্টি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন কেবল একটি অ্যাকাডেমিক অনুষদ নয়। বরং সৃজনশীলতার গবেষণাগার—যেখানে বাস্তব হয়ে ওঠে ধারণা ও সৃজনশীলতা। দ্রুত পরিবর্তিত সৃজনশীল শিল্পের বাজারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়েই ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন ফ্যাকাল্টি অত্যাধুনিক পাঠ্যক্রমে সাজানো। যা শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে সহায়তা করছে। তাদের ভাষ্য, ক্রিয়েটিভ শিল্পজগতে প্রবেশ করতে চমৎকার একটি গন্তব্য এফসিএডি—যার অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১৫০ অনুষদের মধ্যে। এখানে শুধু আর্ট অ্যান্ড ফ্যাশন ডিজাইন নয় বরং পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া, ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েব ডিজাইনের মত বিশেষায়িত কোর্স পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন অভিজ্ঞ অ্যাকাডেমিশিয়ান এবং একঝাঁক প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন ডিজাইনার। যারা ইন্টার্নশিপ, আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ এবং কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দিয়ে থাকেন। 

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ উভয় সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এটিই দেশের প্রথম ফরেন (বিদেশি) ইউনিভার্সিটির শাখা।

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, ‘FCAD শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় বরং এটি আপনার সৃজনশীলতার বিকাশের স্থান। এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা শুধু ডিজাইনার নন—তারা নতুন যুগের গল্প বলা, ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি ও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট নির্মাণে দক্ষ হয়ে উঠছেন। এখানকার পাঠ্যক্রম ডিজাইন করা হয়েছে বাস্তবমুখী প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষার ওপর। যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের বাইরে গিয়েও কাজের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।’

অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের ব্যবস্থাপনা, গবেষণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ একজন শিক্ষার্থীকে তার কর্মক্ষেত্রের জন্য নিশ্চিতভাবে দক্ষ হিসেবে তৈরি করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমেই প্রতিটি শিক্ষার্থী তার নিজস্ব স্টাইল ও চিন্তা ধারার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে।’

ফ্যাকাল্টি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইনের অ্যাফিলিয়েট ডিন ড. সিতি ফাতিমাহ বিনতে হাসিম বলেন, ‘নান্দনিকতা, উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার এক মেলবন্ধন FCAD। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার সীমানা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন করা। আমাদের বিস্তৃত পাঠ্যক্রম, আধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সহায়তা ইন্ডাস্ট্রিতে শিক্ষার্থীদের নতুন এক দিগন্তের সন্ধান দেবে। পাশাপাশি তারা যেন সমাজ ও সংস্কৃতিকে ভাবনায় আনতে শেখে, সেটিও আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।’

ড. সিতি ফাতিমাহ বিনতে হাসিম

তথ্যমতে, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ উভয় সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এটিই দেশের প্রথম ফরেন (বিদেশি) ইউনিভার্সিটির শাখা। শিল্পকলা ও ডিজাইনের ক্ষেত্রে দক্ষ এবং পেশাদার কর্মী তৈরি করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ উচ্চশিক্ষালয়টি। শিল্পকলা ও ডিজাইন শিক্ষায় এটি একটি নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির কারিকুলামের বৈশিষ্ট্য- শিল্প-ভিত্তিক পাঠ্যক্রম, এই খাতের সর্বশেষ প্রবণতাগুলো অন্তর্ভুক্ত রাখা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের পরিবেশ তৈরি করা, স্বাতন্ত্র্য, উদ্ভাবন এবং প্রকাশের স্বাধীনতা। তাই ফ্যাশন ডিজাইনার, মাল্টিমিডিয়া ও প্রোফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার হতে ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আদর্শ অনুষদ। 

ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন কেন পড়বেন?

কর্মসংস্থানে ইউসিএসআই গ্রাজুয়েটদের রয়েছে অসাধারণ সব সাফল্য। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া সরকারের একটি জরিপে শতভাগ কর্মসংস্থান স্কোর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই অনুষদ। ফ্যাকাল্টি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি অফ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইনের সদস্য হওয়ায় সহজেই এখানকার শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর পরিসরে এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সৃজনশীল কাজে এক্সিবিশনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এই কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সৃষ্টিশীল চিন্তাধারার উন্নয়নে সহায়ক।

হল অফ ফেম ও কিউএস ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং

ইউসিএসআই’র এলামনাইদের রয়েছে অগণিত আন্তর্জাতিক সাফল্য। এফসিএডি গ্র্যাজুয়েটদের ঝুলিও এক গুচ্ছে অর্জনে ভরা। এর মধ্যে ২০২০ সালে এডোবি সার্টিফায়েড অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী শীর্ষ ১০, কোরিয়ার ‘এ’ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড অ্যান্ড কম্পিটিশন অ্যাওয়ার্ড উইনার ২০২৩, নিউ এমার্জিং ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এবং ফ্যাশন ডিজাইনে নিউ এমার্জিং ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড (ডিপ্লোমা) ২০২৩ উইনার বিশ্বসেরা এই অনুষদ। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংয়ে ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১% বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এবং এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৫তম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নবম অবস্থানে আছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। 

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

এশিয়া এবং বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউসিএসআইয়ের ফ্যাকাল্টি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন অন্যতম। অনুষদটি শুধু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ডিজাইন কনফারেন্স এবং প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারা অনুমোদিত নয়; বরং বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও রয়েছে এর কার্যকর পার্টনারশিপ।

আরও পড়ুন: ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সায়েন্স ও আর্টস ফ্যাকাল্টি কেন সেরা, কেন পড়বেন

বিদেশি কারিকুলাম

মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এই কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সৃষ্টিশীল চিন্তাধারার উন্নয়নে যেমন সহায়ক, তেমনই তাদের ক্যারিয়ার সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে—এমনটাই অভিমত বিশ্ববিদ্যালয় ও অনুষদ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্তাদের। 

আধুনিকতা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ক্যাম্পাস

ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসটি রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বনানী এলাকায় ১৫টি তলা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। যা ৫০,০০০ বর্গফুটেরও বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। ক্যাম্পাসে রয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম, ইন্টারঅ্যাক্টিভ লার্নিং সুবিধা, প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব। বিষয়ভিত্তিক বিবিধ বইয়ের সমাহারে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং মালয়েশিয়ার মূল ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত অনলাইন লাইব্রেরি সুবিধা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন। যেখানে তারা বিভিন্ন খেলাধুলার সুযোগ পাবে। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত হল রুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স এবং স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়তা করতে কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টি-কালচারাল ক্লাব অ্যাক্টিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইনের শিক্ষার্থীরা

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট ট্রান্সফার

শিক্ষার্থীদের জন্য আছে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফার সুবিধা। বিশ্বের শীর্ষ ১% বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে। 

শিক্ষকমণ্ডলী

ইউসিএসআই ক্যাম্পাসে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। যার অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশে ইউসিএসআই প্রথম দেশি বিদেশি অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি এবং তারা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তারা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং শিল্প খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। 

বাঁচবে ডলার, বাঁচবে দেশ!

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গেলে টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতে বিশাল খরচ হয়, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য বাংলাদেশেই প্রথমবারের মতো ৭০% পর্যন্ত সাশ্রয়ে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে বিদেশি এই বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা করলেও এই ফি সাশ্রয়ী।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা রেখেছে ইউসিএসআইয়ের শাখা ক্যাম্পাসটি। এক্ষেত্রে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফলাফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলারের অস্থির বিনিময় হার ও ক্রমবর্ধমান টিউশন ফি অনেকের স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এসব দিক মাথায় রেখেই শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউসিএসআই। যেন তারা দেশে থেকেই বিদেশি কারিকুলামে গড়া উন্নত পাঠ্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার সুযোগ পায়।

শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ!

মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা রেখেছে ইউসিএসআইয়ের শাখা ক্যাম্পাসটি। এক্ষেত্রে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফলাফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫ কোটি টাকারও বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে ক্যাম্পাসটি থেকে। চলতি শিক্ষাবর্ষেও থাকছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এর বাইরেও একই পরিবারের একাধিক সদস্য, গরীব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও জন্য বিশেষ শিক্ষা সহায়তার সুবিধা রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারের নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম

ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন ফ্যাকাল্টির গ্রাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র বিপুল এবং বহুমুখী। শিল্পকলা ও আধুনিক ডিজাইন দুনিয়া তাদের জন্য উন্মুক্ত। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইউনিভার্সিটির কোলাবরেশন থাকায় দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগ পায় এই ফ্যাকাল্টির গ্র্যাজুয়েটরা। ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর উচ্চতর গবেষণার জন্য হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো, শিংহুয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ড এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এখানকার শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করে।

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠানটি ব্যতিক্রমী অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম, সাশ্রয়ী টিউশন ফি এবং কর্মভিত্তিক জ্ঞানের ওপর এমনভাবে গুরুত্ব প্রদান করছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবিক অর্থে উদ্ভাবনী ও দক্ষতামুখী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। স্বভাবতই বলা যায়, সৃজনশীলতায় বিশ্ব-দরবারে নিজেকে তুলে ধরতে চাইলে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির FCAD হতে পারে শিক্ষার্থীর শ্রেষ্ঠ গন্তব্য। কারণ এখানে রয়েছে বিশ্বমানের শিক্ষা, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, আন্তর্জাতিক সংযুক্তি, আর একটি স্বপ্ন পূরণের বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্ম।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence