প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সিটি ইউনিভার্সিটির

  © টিডিসি সম্পাদিত

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘মর্জি মাফিক নিয়োগ-ছাঁটাইয়ে সর্বেসর্বা সিটি ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. লুৎফর’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মীর আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে দাবি করা হয়, প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী খান সিটি ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের ৩ মার্চে তাঁর নিয়োগপত্রের অনুচ্ছেদ নং-১০ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার বরাবর স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা করেন এবং একই সালের ৬ মার্চ রিলিজ অর্ডার নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে যোগদান করেন। সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে চলে যাওয়ার সময় নিয়োগপত্রের শর্তানুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে তিনি ইউনিভার্সিটি থেকে চলে যান। 

প্রতিবাদ লিপিতে আরও বলা হয়, সিটি ইউনিভার্সিটি একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। যা ২০০২ সাল থেকে সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যেখানে প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষক ইউজিসির বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং একই সাথে প্রতি বছর উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক অধিকতর সুবিধা সম্বলিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেলে তাঁরা ইস্তফা দিয়ে চলে যান; যা প্রতিটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগপত্রের শর্তানুসারে কোন শিক্ষক/কর্মকর্তা পদত্যাগ করলে তাঁকে পদত্যাগের তারিখ হতে ২ মাস পূর্বে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হয়। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় হতে তাৎক্ষণিক পদত্যাগের ক্ষেত্রে ২ মাসের বেতন সারেন্ডার করার বিধান আছে ।

প্রতিবেদনে শিক্ষক/কর্মকর্তাদের পদত্যাগের বিষয়ে যে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রতিটি শিক্ষক/কর্মকর্তা তাদের নিয়োগপত্রের শর্তানুযায়ী পদত্যাগপত্র প্রদান করেছে এবং শর্তানুযায়ী আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রিলিজ অর্ডার নিয়ে অন্যত্র চলে যান। এ সংক্রান্ত যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণাদি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ— ড. শফিকুর রহমান ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ বেতন অফার পাওয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে ইস্তফা দেন। একই সাথে জনাব ড. নাজমুল হুদা জিইডি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেব কর্মরত ছিলেন। তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে এবং উচ্চতর বেতন পাওয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ছাড়েন।

প্রতিবেদনে ভিসির অবর্তমানে প্রো-ভিসিকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে যে তথ্য দেয়া হয়েছে সেটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়টি দাবি করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অবর্তমানে প্রো-ভিসি চলতি দায়িত্ব পালন করেন। ভিসি দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে সেই ক্ষেত্রে চ্যান্সেলরের অনুমতিক্রমে প্রো-ভিসিকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়ার বিধান রয়েছে।

সিটি ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসির উদ্ধৃতি দিয়ে যে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে, সে বক্তব্য প্রো-ভিসির নয় দাবি করে প্রো-ভিসির উদ্ধৃতি উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘আমি রিপোর্টারকে বলেছি যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত নিয়োগ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আবেদনপত্র নেয়া হয়। পরবর্তীতে সিলেকশন বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ওই সিলেকশন বোর্ডে এক্সটার্নাল মেম্বারও উপস্থিত থাকেন। তাছাড়া যারা এখান থেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন, তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে ইস্তফাপত্র দিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই অন্য প্রতিষ্ঠানে ভালো অফার পেয়ে গেছেন। আর কিছু গেছেন ডিসিপ্লিনারি ইস্যুতে। তাদের সব ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও টার্মিনেশন ইউজিসির নিয়ম মেনে করা হয়।’

ড. শফিকুর রহমান ফার্মেসী বিভাগে অধ্যাপক হিসেব কর্মরত ছিলেন। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ বেতনে অফার পাওয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি হতে ইস্তফা দিয়ে চলে যান। একই সাথে জনাব ড. নাজমুল হুদা, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জিইডি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেব কর্মরত ছিলেন। তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে এবং উচ্চতর বেতন অফার পাওয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি হতে ইস্তফা দিয়ে চলে যান। অথচ তাঁদের নামেও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence