জনগণের জন্য সেবার দ্বার উন্মোচিত করতে কাজ করছি: জ্বালানি উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ PM , আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ PM
সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। সরকার জনগণের জন্য সেবার দ্বার উন্মোচিত করতে কাজ করছে, যেটি আগে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। শনিবার (৯ নভেম্বর) বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) ‘রোল অফ স্মার্ট গ্রিড ইন দ্যা ফিউচার পাওয়ার সিস্টেম’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরপর তিনি ‘হুয়াওয়ে-সিইআর, ইউআইইউ অ্যাডভান্স সোলার ল্যাব’ উদ্বোধন করেন। এটি বাংলাদেশের প্রথম কোনো ল্যাব যেখানে সৌর শক্তি থেকে সংরক্ষিত জ্বালানি শক্তি সংরক্ষণের সুযোগ থাকবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ক্যাম্পাসে তার প্রথম অংশগ্রহণে উচ্ছ্বাস জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পাসের রাজনীতি মিস করছি। এখন জাতীয় রাজনীতি নিয়ে কাজ করছি। এখন আমরা বাংলাদেশকে একটি নীতিমালা দিতে কাজ করছি।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, এখন সবাই স্মার্ট হতে চায়, কেউ পিছিয়ে থাকতে চায় না, সেজন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আমাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বর্তমান সময়ের জ্বালানি ব্যবস্থায় ২০ শতাংশ ব্যয় কমাতে সহায়তা করছে এবং এটি স্থায়ী। সরকার এক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
মেট্রোরেলের সংস্কারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো জাদু দিয়ে কাজ করিনি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয় একজন নাগরিক এক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করেছেন। আমরা খুব কম খরচে এটি করতে পেরেছি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে ড. কবির বলেন, এখনও ৫শ’রও বেশি আহত রয়েছেন, যারা চোখ হারিয়েছেন। এছাড়াও হাত-পা হারিয়েছেন, বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়েছেন, এমন অনেক আহত রয়েছেন।
বিদ্যুৎ খাতের পরিবর্তনে সরকার নানা উদ্যোগ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নীতিমালা প্রণয়ন এবং সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছি, এখানকার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে চাই। সরকারের কেনাকাটা এখানে আমরা বিষয়গুলো পুনরায় মূল্যায়ন করবো।
অনুষ্ঠানে ‘ভবিষ্যত জ্বালানি নির্দেশনায় স্মার্ট গ্রিড’ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ২০১০ সালে ইউআইইউতে সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) প্রতিষ্ঠা করি। এখানে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক সব ধরনের গবেষণা এবং নীতিমালা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সাথে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে।
সরকারের জ্বালানি নীতিমালা সিইআর অন্যতম সহযোগী জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দেশি-বিদেশি ৯টিরও বেশি অ্যাওয়ার্ড আমরা অর্জন করতে পেরেছি। স্মার্ট গ্রিড নিয়ে আমরা ২০০৮ সালে জাতীয় পর্যায়ে সেরার পুরস্কার পেয়েছি। আমি হুয়াওয়েকে কৃতজ্ঞতা জানাই, এখানে তারা ল্যাব স্থাপনে আমাদের সহায়তা করেছে।
হুয়াওয়ের অর্থায়নে ইউআইইউতে প্রতিষ্ঠিত এ ল্যাবের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো টেকসই সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। এছাড়াও এখানে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী হুয়াওয়ে এবং সিইআর, ইউআইইউ সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন কোর্স ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে। এসব প্রশিক্ষণ ও কোর্সের বিষয়বস্তুতে নবায়নযোগ্য শক্তি টেকনোলোজি, গবেষণা, ডিজিটাল শক্তি এবং স্মার্ট এনার্জি সলিউশনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি বাংলাদেশে প্রথম ল্যাব, যার অধীনে নবায়নযোগ্য শক্তি সংরক্ষনের সুযোগ থাকবে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা। পুরো আয়োজনটি ইউআইইউ'র সাথে সমন্বয় করেছে ইউআইইউ'র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ সেন্টার (সিইআর)।