গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই কেন ‘বেস্ট অপশন’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৭ PM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪০ PM
মানসম্মত বেতন, গুগল-মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ সর্বোপরি ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রতি মুগ্ধতার এমন বিষয়গুলোই বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স-কে দিনদিন আগ্রহের শীর্ষ নিয়ে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রযুক্তিতে একুশ শতাব্দীর যুগান্তকারী পরিবর্তন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। যাতে হাওয়া দিয়েছে করোনাকাল। সুতরাং প্রযুক্তি ছাড়া জীবনে উন্নতির সম্ভাবনা কম।
শিক্ষাবিদরাও বলছেন, পড়ার বিষয় পছন্দের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চাকরির বাজারের বিষয়টি মাথায় রাখেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চাকরির বাজারে সিএসই গ্র্যাজুয়েটদেও বেশ চাহিদা তৈরি হয়েছে। আগামীর কর্মবাজারেও তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের চাহিদা আরো বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সমসাময়িক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ জোরেশোরে। এসব প্রেক্ষাপটকেই সিএসই ক্রেজের প্রভাবক হিসেবে দেখা হচ্ছে। মূলত এই চিন্তা-চেতনার প্রেক্ষাপটেই গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ মানসম্মত উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
অনেকেই মনে করে থাকেন, কম্পিউটার সায়েন্স মানেই প্রোগ্রামিংয়ের খেলা। কিন্তু বিষয়টি আদৌতে তা নয়। সিলেবাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রথম বছর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং যেমন সি, সি প্লাস প্লাস; দ্বিতীয় বছর ডেটা স্ট্রাকচার, অবজেক্ট ওরিয়েন্ডেটে প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম; তৃতীয় বছর অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, হার্ডওয়্যার, মাইক্রো কন্ট্রোলার, কম্পিউটার ইন্টারফেসিং ইত্যাদি; চতুর্থ বছর মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ জনপ্রিয় বিভিন্ন টপিক। অথ্যৎ চার বছর ধরে একজন শিক্ষার্থীকে কম্পিউটারের যাবতীয় খুঁটিনাটি জানানোই এই সাবজেক্টের মূল উদ্দেশ্য। যেখানে একজন শিক্ষার্থী পুরো কম্পিউটার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়।
কাজের সুযোগ: কম্পিউটার বিজ্ঞান একজন শিক্ষার্থীর সামনে অনেক ধরনের রাস্তা খুলে দেয়। কেউ যদি চাকরি করতে চায়, সেই সুযোগ আছে এবং বাড়ছে। কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে কাজের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে চায়, তা-ও সে করতে পারে। আবার কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণারও সুযোগ আছে অনেক। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিদেশে উ”চতর পড়াশোনার জন্য যায়, তাদের একটা বড় অংশই কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞানের স্নাতক। এছাড়া অপারেটিং সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মোবাইল কম্পিউটিং, নিউরাল কম্পিউটার বিষয়গুলো ডেভেলপ করা নিয়ে কাজ করতে পারেন। দক্ষতা এবং জ্ঞান যখন পরিপূর্ণতা পাবে তখন নিজে থেকে নতুন কিছু করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, আইটি অফিসার, ওয়েব ডেভেলপার, প্রোগ্রামার, নেটওয়ার্কিংসহ নানান বিষয় নিয়ে কাজের সুযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিভিন্ন ব্যাংকেও আইটি অফিসার হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই কেন ‘বেস্ট অপশন’ ভর্তি হওয়ার আগে সেই বিষয়টা জানা দরকার? বাংলাদেশে যতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সিএসই’ বিভাগ; ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) স্বীকৃতির আওতাভুক্ত এর মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অন্যতম। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ আইইবি কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে এখান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ। সম্মানজনক এই সনদ অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই স্নাতকধারীরা পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ‘আইইবি’তে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা চাকরির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচিত হবেন তারা।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ। বিভাগীয় চেয়ারপার্সন হিসেবে আছেন ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আধুনিক ও মানসম্মত সব সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার সমৃদ্ধ ল্যাব যেমন আছে, তেমনি আছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা। এর বাইরেও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি ও ডিজিটাল সেমিনার লাইব্রেরি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতেও গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই’র অবস্থান সুদৃঢ়। বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ বিভাগে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ (বুয়েট, ঢাবি) ছাড়াও ইউরোপ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর (পূর্ণকালীন) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। গড়ে তোলা হয়েছে ওয়াইফাইসমৃদ্ধ ক্যাম্পাস, কম্পিউটার ব্যবহারের অবাধ সুযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ক্লাসরুম; উন্নত এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সজ্জিত এনালগ ও ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব; কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ল্যাব; মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব; মাইক্রোকন্ট্রোলার ল্যাব; সফটওয়্যার শিক্ষার নিমিত্তে সর্বশেষ মডেল/কনফিগারেশন সমৃদ্ধ কম্পিউটার; উইন্ডোজ নির্ভর ও-লিনাক্র/ইউনিক্র ভিত্তিক ল্যাব; ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা-যা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্যই উন্মুক্ত।
চতুর্থ শিল্প চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত চার বছর ধরে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ সম্মেলন করে আসছে সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ; যেখানে সিএসই বিভাগের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকে। দেশি-বিদেশি প্রথিতযশা ও খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং ইন্ড্রাস্ট্রি প্রফেশনালদের সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের মতবিনিময় ও প্রফেশনাল রিলেশনশিপ তৈরির ক্ষেত্র হিসাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে এই সম্মেলন। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) এশিয়াধীন ঢাকা অঞ্চল পর্বের প্রতিযোগিতা। যেখানে ১২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৪৮টি টিমের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ কম্পিউটার ও প্রযুক্তি নিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান-সম্মেলন করে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ।