নর্থ সাউথ-এশিয়া প্যাসিফিকের পর অনলাইন ক্লাসে ইউআইটিএস

লোগো
লোগো  © টিডিসি ফটো

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক। গত রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন পাঠদান চলছে। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ প্রক্রিয়া। পরেরদিন মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেয় নতুন আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পর তৃতীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেয় ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স (ইউআইটিএস)। বিশ্ববিদ্যালয়টির অনলাইন পাঠদান চলবে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সের রেজিস্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সারাদেশের উপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহের কারণে ২২-২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সকল ক্লাস অনলাইনে পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে এনএসইউর ২১-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস অনলাইন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

আরও পড়ুন: অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের

গেল কয়েকদিন ধরেই সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে কয়েকটি জেলায়। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যতিক্রম। হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া তীব্র তাপ পরিস্থিতিতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ রয়েছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহামুদ রাহাত বলেন, বর্তমানে ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ক্রস করে ফেলছে। এই তীব্র গরমের মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছি। গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, ঠিকমতো পরীক্ষায় মনোযোগ দেওয়া যায় না।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের হৃদয় হাসান বলেন, এই তীব্র গরমে ক্লাস করতে গিয়ে আমরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার নিউজে দেখছি, সরকারি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি ভাবছে না।

সারাদেশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে রোববার সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষক-অভিভাবকদের দাবির মুখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।


সর্বশেষ সংবাদ