শৈশবের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির পিঠা উৎসব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৯ PM , আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৪ PM
বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করা এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ‘পিঠা উৎসব-১৪৩০’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর গুলশানে ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবির।
দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাহারি রকমের পিঠা-পুলির প্রায় ১৬টি স্টল দেওয়া হয়। পিঠা উৎসব উপলক্ষে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
পিঠা উৎসব সম্পর্কে জানতে চাইলে মৃদুল খানম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার মতো যাদের বেড়ে ওঠা গ্রামে, তাদের জন্য এই আয়োজনটা সত্যিই অনেক আবেগের জায়গা। মা-দাদিরা শীতের সময় খেজুরের রস দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পিঠা তৈরি করত। এখন আর সেই স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয় না। এবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পিঠা উৎসব কিছুটা হলেও সেই স্বাদ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. রুহুল আমিন বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির ঐতিহ্যকে তরুণ প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কার্যকরী উদ্যোগ। বাহারি নকশায় তৈরি পিঠাগুলো বাঙালি সত্ত্বাকে বহন করে। আমাদের অনেকেরই শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে আছে মায়ের হাতের গরম পিঠার সাথে। শৈশবের সেই সব স্মৃতির পাতা উল্টাতেই প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে আজকের এই আয়োজন।
পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, অ্যাডভাইজার, বিজনেস অনুষদের ডিন, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানটির এডভাইজার অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবির বলেন, আমাদের বাংলাদেশে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগে থাকে। সেই তেরো পার্বণের একটি হলো এই পিঠা উৎসব। আমরা যদি হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করি, তাহলে আমরা দেখবো আমাদের ফসল উঠে অগ্রহায়ণ মাসে তখন দেখা যায় প্রত্যেক কৃষকের ঘরে ঘরে আনন্দ।
তিনি বলেন, যদিও আজকে আমরা শিল্পায়নের একটি শক্ত খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে আছি। তবুও বাংলাদেশের বিরাম জনপথ এখনো কৃষি ভিত্তিক। নবান্ন উৎসব শুরু ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র গুলশান তথা প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে উৎযাপিত হচ্ছে তা নয়, সারা বাংলাদেশেই এটি উৎযাপিত হচ্ছে। আমাদের এই উৎসব প্রমাণ করে আমরা স্বচল। আগামীতেও এমন উৎসব আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করছি।