৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিট ফার্ম নিয়োগ সরকারের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪৭ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৪ PM
দেশের পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার এবং আজ মঙ্গলবার বিষয়টি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
জানা গেছে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, চারটি পৃথক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ড্যাফোডিলের অডিট কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে শফিক বসাক অ্যান্ড কোং, ইউরোপিয়ানের অডিট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোং, সেন্ট্রাল উইমেন্সের দায়িত্ব পেয়েছে মেসার্স পিনাকী অ্যান্ড কোং, আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিরীক্ষার জন্য মাফেল হক অ্যান্ড কোং-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শপিংমলের ভাড়া কক্ষে পাঠদান করছে স্থায়ী সনদ পাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক
দায়িত্ব পাওয়া অডিট ফার্মগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সকল কার্যাদি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয় কি-না তা পরীক্ষা করতে হবে; ব্যয়ের ভাউচারসমূহ যাচাই করে বর্ণিত ব্যয় যথাযথভাবে হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করতে হবে। সকল আয়-ব্যয় নির্দিষ্ট খাত হতে করা হয় কি-না, না হয়ে থাকলে কবে নাগাদ তা চালু করা হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে ব্যয়ের খাত গোপন করা হয় কি-না তা পরীক্ষা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক লেনদেনের জন্য যথাযথভাবে লেজার সংরক্ষণ করা হয় কি-না, না হয়ে থাকলে কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে তা নির্দিষ্ট করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ না করে নগদে অর্থ গ্রহণ করা হলে গৃহীত অর্থ হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধকরে যথাসম্ভব দ্রুত ব্যাংকে জমা করা হয় কি-না, এবং ছাপানো রশিদ বইয়ের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করা হয় কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী সম্পদ ভূমি, ইমারত, ব্যাংকের স্থায়ী আমানত, মূল্যবান যন্ত্রপাতি, যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ক্রয় ও রেজিষ্ট্রেশন করা হয় কি-না, না হয়ে থাকলে কার নামে ক্রয় ও রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা বর্ণনা করতে হবে। ব্যাংকের হিসাব /হিসাবসমূহ কে কে পরিচালনা করেন তা বর্ণনা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগকৃত তহবিল হতে উৎসারিত আয় বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা হয় কি-না তা জানাতে হবে। হিসাব বিবরণীতে অন্যান্য আয়-ব্যয় দেখানো হলে তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফরমেন্স সম্পর্কে মন্তব্য করা, পূর্বের কোন মন্তব্য থাকলে তার বাস্তবায়ন হয়েছে কি- না তা দেখতে হবে। ভ্যাট, আইটি আর্থিক বিধি মাফিক কর্তন করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে। স্থায়ী আমানত রিজার্ভ ফান্ড এর বিপরীতে কোন ঋণ নেয়া হয়েছে কি-না, হয়ে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে না কোন ব্যক্তি বিশেষের নামে নেয়া হয়েছে তা বের করতে হবে। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৪৫(১) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক আর্থিক বৎসরের আয়-ব্যয়ের হিসাব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করা হয় কি-না তা যাচাই করতে হবে।