নানা আয়োজনে মানারাত ইউনিভার্সিটিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ  © টিডিসি ফটো

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নানা আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। 

বুধবার (১৮ অক্টোবর) আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, আলোচনা সভা, ও ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন। 

স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকে শেখ রাসেলের জন্মদিন। জন্মদিন হয় শুভ দিন। কিন্তু শেখ রাসেলের জন্মদিন এলে মনে পড়ে যায় সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা। 

তিনি শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অত্যন্ত আক্ষেপের সাথে বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। সারাটা জীবন জেলে কাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি এটা না করলেও পারতেন। আরামে জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু বাঙ্গালী জাতি তার কী প্রতিদান দিয়েছে? তাঁকে-সহ পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে। ছোট্ট রাসেলকেও বাঁচতে দেয়নি। ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আর একটিও নেই।

বিশেষ অতিথি ইসরাত জাহান নাসরিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে পরিবারসহ ছোট্ট রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। রাসেল বলেছিল আমি মায়ের কাছে যাব। হায়েনার দল বলেছিল ‘চল তোকে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেই’। এই বলে পেছন থেকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। কী অপরাধ ছিল তার? কোনটি ভালো, কোনটি মন্দ বোঝারই তখন তার বয়স হয়নি। কে শত্রু, কে মিত্র তাও সে জানতো না।’

আমরা বীরের জাতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাসে, আমাদের চেতনায় সর্বদা থাকবে এই দেশটি বিশ্বের মানচিত্রে একটি উন্নতশীল ও সম্মানিত দেশ হিসেবে দাঁড় করানো। কাউকে ভয় করে নয়। কারো কাছে মাথা নত করে নয়। আজকে শেখ রাসেলের জন্মদিনের এই হোক আমাদের প্রত্যয়। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন মাহবুব আলম, আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিকুজ্জামান, সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের কোঅর্ডিনেটর ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকে।

আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে ফলজ, ঔষুধি ও শোভাবর্ধক গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ সময় কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশন্স ও অ্যাডমিশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের ডিরেক্টর (ইনচার্জ) এ. এইচ. এম. আবু সাঈদ, ইংরেজি বিভাগের প্রধান আহমেদ মাহবুব-উল-আলম, স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আবদুল মতিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেইন-সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence