ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে ‘বিসিক সার্ভিস সেন্টার’ চালু

‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপোর্ট সেন্টার’ উদ্বোধনে অতিথিবৃন্দ
‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপোর্ট সেন্টার’ উদ্বোধনে অতিথিবৃন্দ  © টিডিসি ফোটো

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভির্সিটিতে (ডিআইইউ) শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যেক্তা বের করতে চালু কর হলো 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপোর্ট সেন্টার'। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও ডিআইই’র যৌথ উদ্যেগে এ  সাপোর্ট চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এটির উদ্বোধন করেন ডিআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং বিসিক চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান।

ডিআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ডিআইইউ’র ব্যবসা ও উদ্যোক্তা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাসুম ইকবাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআইইউর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক আবু তাহের খান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান বলেন, বিসিক ১৯৫৭ সাল থেকে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে আসছে, যেখানে ঐতিহ্যবাহী কারিগর ও হস্তশিল্পীরা ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। পরবর্তীকালে তুলনামূলকভাবে বিভিন্ন ঘরানার বড় উদ্যোক্তারা এর সঙ্গে যুক্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষিত তরুণরা কখনোই মূলধারার উদ্যোক্তা হতে পারেননি। কিন্তু বিসিক এবার তা করতে চায় এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে নতুন ধারা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় ডিআইইউ ক্যাম্পাসে বিসিক সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়।

এ বিষয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিআইইউ তাদের স্নাতকদেরকে প্রচলিত চাকরির বাজারের দিকে না ঠেলে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে এবং মূলধন, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি ডিআইইউ ক্যাম্পাসে বিসিকের শিল্প সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনকে সরকারি ও বেসরকারি খাতের পারস্পরিক সহযোগিতার একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন।

ডিআইইউ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান তার বক্তব্যে বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটিকে একটি উদ্যোক্তা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছে। ফলস্বরূপ, ডিআইইউ গ্র্যাজুয়েটদের একটি বিশাল সংখ্যক এখন ব্যবসায়িক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেশ বিখ্যাত।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিসিকের শিল্প সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিসিককে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিসিক যেমন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছে, তেমনি ড্যাফোডিল শিক্ষার্থী-উদ্যোক্তারাও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করছে। তাই এ দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে দেশের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য।

ডিআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান তার সভাপতির ভাষণে বলেন, ডিআইইউ ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত বিসিকের শিল্প সহায়তা কেন্দ্রটি অনেক সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিসিক এবং ড্যাফোডিল উভয়ের সূত্র জানিয়েছে যে উদ্যোক্তারা সাধারণত বিসিক জেলা এবং প্রধান কার্যালয় থেকে যে সমস্ত পরিষেবা পান তাও ডিআইইউ ক্যাম্পাসে স্থাপিত বিসিক শিল্প সহায়তা কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, বিসিক প্রদত্ত উল্লিখিত পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে শিল্প নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, শিল্প প্লট বরাদ্দ, ঋণ, কর ও শুল্ক মওকুফ সুবিধা পাওয়ার জন্য সুপারিশ, আমদানি অধিকারের জন্য সুপারিশ (এন্টাইটেলমেন্ট), প্রকল্প প্রোফাইল তৈরি, বিপণন জরিপ প্রস্তুতি, মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন ইত্যাদি বিস্তারিত দেওয়া হবে। উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীরা এখন তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে BSCIC-এর শিল্প সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে এই সুবিধাগুলি উপভোগ করার সুযোগ পাবে।


সর্বশেষ সংবাদ