সমাবর্তনে আটকা বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন

আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র তুলে দেয়ার আয়োজনের নাম সমাবর্তন
আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র তুলে দেয়ার আয়োজনের নাম সমাবর্তন  © সংগৃহীত

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক শেষ করে বিদেশি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন রাইয়ান ইসলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন না হওয়ায় মূল সনদপত্র তুলতে পারেননি তিনি। ভর্তি ও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শেষ পর্যন্ত বিদেশে যেতে পারেননি তিনি। মূল সনদ জমা দিতে না পারায় ভর্তি বাতিল হয়ে যায় তার। সনদ নিয়ে এ ধরনের ভোগান্তিতে পড়ছেন সমাবর্তনের অপেক্ষায় থাকা শত শত শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা শিক্ষার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র তুলে দেয়ার আয়োজনের নাম সমাবর্তন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের হাত থেকে নির্ধারিত কিছু গ্রাজুয়েটের হাতে সনদপত্র দিয়ে সমাবর্তন শেষ হবার সাথে সাথেই উপস্থাপক আচার্যকে মঞ্চের সামনে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদেরকে গ্রাজুয়েট ঘোষণা করার জন্য আহবান জানান। পরে, অনুষদভিত্তিক ঘোষণা আসার সাথে সাথেই উপস্থিত শিক্ষার্থীরা উঠে দাঁড়িয়ে মাথার হ্যাট খুলে সম্মান প্রদর্শন করে সমাবর্তন গ্রহণ করেন। 

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি কিংবা তার মনোনীত কোন প্রতিনিধি সভাপতিত্ব করেন (ফাইল ফটো)

নিয়মানুযায়ী, শিক্ষাজীবন শেষ বা পরীক্ষা-ফলাফল সব শেষ হয়ে গেলেও সমাবর্তন ছাড়া মূল সার্টিফিকেট তোলা যায় না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া সাময়িক সার্টিফিকেট নিয়ে কাজ চালান শিক্ষার্থীরা। তবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সাময়িক সনদপত্র গ্রহণযোগ্য হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। গ্রহণ করলেও শর্ত জুড়ে দেয়া হয় ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে মূল সনদপত্র জমা দেয়ার। ফলে গলার কাঁটায় রূপ নিয়েছে আটকে থাকা সমাবর্তন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্টি হয় সমাবর্তন জট। পাশাপাশি, আগের রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া, নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেয়ার পরে সমাবর্তনের শিডিউল না পাওয়া, সমাবর্তনের বিশাল খরচ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যকর উদ্যোগের অভাবে আয়োজন করা যাচ্ছে না সমাবর্তন।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে- বেরোবি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বশেমুরবিপ্রবি, পাবিপ্রবি, বুটেক্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১ যুগ পেরিয়ে গেলেও একবারও সমাবর্তন করতে পারেনি। 

ফলে পড়াশোনা শেষ করেও বিদেশে চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দেশে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬৬টি। তবে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন আয়োজনের সংকট কাটছেই না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বেসরকারি ইউরোপিয়ান ইউনির্ভাসিটির সাবেক শিক্ষার্থী খান ইমরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, একের পর এক ইউনিভার্সিটি তাদের কনভোকেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন করছে। আর আমাদের ইউনিভার্সিটি ২০১৯ সাল থেকে ৫ বছর ধরে কোভিড পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রপতির সিডিউলের দোহাই দিয়ে সময় পার করছে।

সমাবর্তন করতে না পারলে বাদ দিতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমরা ৬ হাজার টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম। টাকা আর ফেরত দেয়া লাগবে না। আমাদের মূল সাটিফিকেটগুলো দয়া করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। আর কতো ধোঁকাবাজি করবেন। কনভোকেশনের নামে প্রহসন দয়া করে বন্ধ করেন।

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এক যুগের মাথায় সর্বশেষ ২০১০ সালে প্রথম সমাবর্তন হয়েছিল। দুই যুগের বেশি বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়টির একমাত্র সমাবর্তন সেটি। এরপর আরও এক যুগেও অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না। মূল সার্টিফিকেট পেতে অপেক্ষা করছে ২০০৭-২০০৮ সেশনের শিক্ষার্থীরাও। এরজন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের উদাসীনতা এবং উদ্যোগের অভাবকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে মাত্র একটি সমাবর্তন করতে পেরেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর দেড় যুগেও সমাবর্তন করতে পারেনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ঘোষণা দিয়ে করতে না পারলেও বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগই নাই সমাবর্তন করার।

দেশে সমাবর্তন আয়োজন না করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেসরকারির সংখ্যাই বেশি। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ১১ বছরে একবারও সমাবর্তন করেনি এমন বিশ্ববিদ্যালয় আছে অন্তত ১১টি। 

দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এক যুগ পেরিয়ে গেলেও একবারও সমাবর্তন করতে পারেনি। 

অন্যদিকে, শিক্ষার্থী সংখ্যার বিচারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়। ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর ২০১৭ সালে এসে একটি মাত্র সমাবর্তন করেছে। এরপর ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যকর উদ্যোগ নেই বিশ্ববিদ্যালয়টিরও। 

অন্যদিকে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৩১ বছরের পথচলায় ২৩টি সমাবর্তন করেছে। তার উপর প্রথমবারের মতো অনলাইন সমাবর্তন করার কৃতিত্ব এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির। কিন্তু সর্বশেষ ২০২১ সালের পর সরকারি অনুমোদন জটিলতায় ২৪ ও ২৫ তম সমাবর্তন করতে পারছে না তারা। দফায় দফায় চিঠি চালাচালি করেও স্পষ্ট কোনো সুরাহা হয়নি বিষয়টির।

সমাবর্তন বিমুখ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে সমাবর্তন আয়োজন না করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেসরকারির সংখ্যাই বেশি। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ১১ বছরে একবারও সমাবর্তন করেনি এমন বিশ্ববিদ্যালয় আছে অন্তত ১১টি। তাদের মধ্য রয়েছে- ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, শরীয়তপুরের জেএডএইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী ইউনিভার্সিটি ও কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

অন্যদিকে, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ১০ বছরে একবারও সমাবর্তন করেনি ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হচ্ছে— ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটি , রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, জামালপুরের শেখ ফাজিলাতুন নেছা মুজিব ইউনিভার্সিটি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নারায়ণগঞ্জের রণদাপ্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের জার্মান ইউনিভার্সিটি, বরিশালের গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি।

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর ৯ বছরে কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একবারও সমাবর্তন হয়নি। তাছাড়া ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে গত ৮ বছরে একবারও সমাবর্তন হয়নি দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, নাটোরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, কুমিল্লার বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, মানিকগঞ্জের এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টোকনোলজি, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। ঢাকার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন করেনি বা কোনটা কতবার করেছে এ সম্পর্কিত তথ্যও এখন থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার পদক্ষেপ নেয়া হবে, ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেন এসব জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন-অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, সদস্য, ইউজিসি

তবে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, গণ বিশ্ববিদ্যালয়,নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, আহ্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, মুন্সীগঞ্জের হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী ইউনিভার্সিটি, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি।

তবে কবে নাগাদ এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হতে পারে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমাবর্তন করতে অনীহা, আয়োজন জটিলতা ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সাথে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন করেনি বা কোনটা কতবার করেছে এ সম্পর্কিত তথ্যও এখন থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার পদক্ষেপ নেয়া হবে, ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেন এসব জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের জেনেশুনে, খোঁজখবর নিয়ে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করানোর পরামর্শ তার। তাছাড়া সরকারি তথ্যসেবা ৩৩৩-তে যোগাযোগ করতে পারেন।

সমাবর্তন আয়োজনে জটিলতার বিষয়ে কমিশনের এই সদস্য বলেন, বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে দুইবারও সমাবর্তন হয়। যেহেতু রাষ্ট্রপতির শিডিউল পাওয়া নিয়ে জটিলতা আছে, সমাবর্তন আয়োজনের জন্য তাদের আগেভাগে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ইউজিসি সমাবর্তন আয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে মাত্র।


সর্বশেষ সংবাদ